পেশাদার কোচদের আবেগের পরিসরটা ছোট, চাকরিটাই যে ক্ষণস্থায়ী !

তারপর একদিন কোনও অচেনা স্টেশনে বর্তমানের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় প্রাক্তনের। না। কোনও উপন্যাসের লাইন বা সিনেমার সংলাপ নয়। এবারের ইউরোয় এটাই যেন রক্তমাংসের বাস্তব। রয় হজসনের কথাই ধরা যাক। ইউরোর হাই-প্রোফাইল কোচেদের ফিরিস্তিতে খুব ওপরের দিকেই আছেন ৬৭ বছরের হজসন। ইংলিশ এফএ-র হায়েস্ট পেড কোচ। রুনিদের বর্তমান হেড স্যারের বায়োডেটায় প্রাক্তন দল হিসেবে আজও জ্বলজ্বল করে সুইজারল্যান্ডের নামটা। পেশাদার কোচেদের জীবনে আবেগের পরিসরটা বেশ ছোট। কারণ, চাকরিটাই এত ক্ষণস্থায়ী।

বর্তমান-প্রাক্তনের এই টানাপোড়েনে উঠে আসবে লার্স ল্যাগারব্যাকের নামটাও। হজসনের থেকে এক বছরের ছোট ল্যাগারব্যাক আগাগোড়াই মাভেরিক। যাযাবর কোচিং জীবনে দীর্ঘ এক যুগ সুইডেনের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০০, ২০০৪, ২০০৮-এ ইউরোয় ইব্রাহিমোভিচদের কোচ অবশ্য জন্মসূত্রে সুইডিশ হলেও এখন আইসল্যান্ডের দায়িত্বে। নক-আউটে সুইডেন-আইসল্যান্ড দেখা হলে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ডার্বি হয়তো ল্যাগারব্যাকের মনেও টেনে আনবে বর্তমান-প্রাক্তনের নস্ট্যালজিয়া।

তবে এদিক থেকে ভাগ্যবান পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস আর রোমানিয়ার অ‍্যাঞ্জেল ইয়রদানেস্কু। দু’জনেই একটা সময় গ্রিসকে কোচিং করিয়েছেন। তবে অটো রেহেগালের ইউরো-সেরা গ্রিকরা এবার মূলপর্বের টিকিটই পায়নি। তাই সেদিক থেকে স্নানের ঘরে বাস্পে ভাসতে হবে না ইয়রদানেস্কু-সান্টোসদের।