নিউজিল্যান্ড: ২৩৯/৮ (৫০ ওভার)
ভারত: ২২১ (৪৯.৩ ওভার)
১৮ রানে জয়ী নিউজিল্যান্ড
#ম্যাঞ্চেস্টার: ব্যর্থতাই সঙ্গী। ৮৩-র কপিলদেব আর হয়ে ওঠা হল না বিরাটের। স্ট্র্যাটেজিক ভুল আর ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ শেষ টিম ইন্ডিয়ার। ম্যাঞ্চেস্টারের মহারণে ১৮ রানে হেরে বিরাটদের বিদায় সেমিফাইনালেই।
ছত্রিশ বছরের কীর্তি ছোঁয়া হল না। কপিলের দলের রাস্তায় হেঁটে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে লর্ডস যাত্রা সম্পূর্ণ হল না বিরাট বাহিনীর। দলের বিশ্বসেরার মুকুট অধরাই রইল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮ রানে হেরে সেমিফাইনালেই দৌড় শেষ টিম ইন্ডিয়ার। জয়ের জন্য ২৪০ রানের লক্ষ্যে নেমে ২২১ রানে থমকে গেল ভারতের ইনিংস। পাঁচ রানে রোহিত, রাহুল, বিরাটের তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শুরুতেই ধুঁকতে থাকা ভারত অক্সিজেন পেয়েছিল ধোনি-জাদেজার জুটিতে। ৫৯ বলে ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে স্যান্টনারের বলে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন ‘স্যর জাদেজা’। তারপরেও মরিয়া চেষ্টা ছিল এমএসডি-র। ৭২ বলে ৫০ রান করে ধোনির ফিরে যাওয়ার পর সব শেষ।
A remarkable partnership between @msdhoni and @imjadeja provided some wonderful shot-making and took India to the brink of a thrilling comeback.
See their best shots here #TeamIndia | #CWC19 pic.twitter.com/ZxlDtJzn8i— ICC (@ICC) July 10, 2019
সকালটা অবশ্য ভালই শুরু করেছিলেন বুমরাহ-ভুবিরা। গতকাল, মঙ্গলবারের ২১১-র সঙ্গে মাত্র ২৮ রান যোগ করে ২৩৯ এ থেমে যায় রস টেলররা। এরপরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের লম্বা গল্প। রাহুল ও রোহিতকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে প্রথম ধাক্কা দেন ম্যাট হেনরি। এক রানে বিরাটকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরিয়ে দেন ট্রন্ট বোল্ট। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ড্রেসিংরুমে কাঁপুনির সেই শুরু। মেঘলা আবহাওয়ায় তখন বোল্ট-হেনরিকে সামলাতে ঘাম ঝরছে ভারতীয় টপ অর্ডারের। সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন পন্থ ও পান্ডিয়া। ৫৬ বলে পন্থের সংগ্রহ ৩২। ৬২ বলে ৩২ রান করে ফিরে যান পান্ডিয়া। প্রশ্ন এখানেও ধোনির মতো ব্যাটসম্যান ওয়েটিংয়ে থাকতে ২৪ রানে চার উইকেট পরে যাওযার পরে পান্ডিয়া কেন ? বড় আসরে বিরাট বরাবর ব্যর্থ। শেষ তিন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বিরাটের মোট রান ১১। চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পাঁচটা শতরান থাকলেও ২০১৫-র বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ২০১৭-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ২০১৯-র শেষ চারের লড়াইতে রান নেই রোহিতের ব্যাটেও। তবে রোজ ‘রোহিতবাবা পার করেগা’, সেও তো আরব্যরজনীর মতোই। রাহুল, পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিকরা আর কবে সাবালক হবেন? দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক সিরিজের পারফরম্যান্স নয়, হিরোগিরি দেখানোর আসল মঞ্চ তো বিশ্বকাপই। শাস্ত্রী-বিরাটরা সেটা বুঝলেন তো ?