'দীর্ঘদিন বায়ো-বাবলের মধ্যে থাকাটা মানসিক চাপ হতে পারে', লম্বা সফরে কাটছাঁটের পক্ষে বিরাট

Last Updated:

টুর্নামেন্ট বা সিরিজ কতটা দীর্ঘ হবে সেটা ভাবা দরকার। একটানা জৈব সুরক্ষার মধ্যে থাকলে ক্রিকেটারদের মনের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা ভাবার বিষয়: বিরাট কোহলি

#কলকাতা: গত আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পা রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। করোনা আবহে নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে জৈব সুরক্ষা বলয় অর্থাৎ বায়ো-বাবলের মধ্যে থেকেই আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে সকলের। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫-৮০ দিনের কাছাকাছি। এরপরই আবার দীর্ঘ অস্ট্রেলিয়া সফর। ১০ নভেম্বর আইপিএল ফাইনাল শেষ করে ১২ তারিখ অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে গোটা ভারতীয় দল। টি-টোয়েন্টি, একদিন এবং টেস্ট সিরিজের জন্য দলে থাকা সব ক্রিকেটারই একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেবে। চেতেশ্বর পূজারা এবং হনুমা বিহারি ছাড়া সব ক্রিকেটারই আইপিএল খেলা অস্ট্রেলিয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেও জৈব সুরক্ষা বলয় মধ্যে ঢুকে যাবে গোটা দল। সেখান থেকেই পুরো সিরিজ খেলবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫-৬ মাসের কাছাকাছি বায়ো-বাবলে থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। এই বিষয়টাই যথেষ্ট মানসিক চাপ বলে মনে করছেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারতীয় কাপ্তানের মতে, "দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষার বলয়ের মধ্যে থাকাটা মানসিক চাপ হতে পারে। তাই লম্বা ক্রীড়া সূচি তৈরি করার আগে বিষয়গুলো ভাবা উচিত।"
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। এই দুই সিরিজ শেষ হওয়ার পর চারটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন বছরে প্রথম মাস গড়িয়ে যাবে সিরিজ শেষ হতে। কার্যত সেই দিকেই ইঙ্গিত করে আরসিবি অধিনায়ক তাদের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, "যদি একটা ভালো গ্রুপের সঙ্গে থাকা যায় তাহলে বায়ো-বাবল সমস্যা নয়। যেমন আরসিবি দলটা। প্রত্যেকেই দুর্দান্ত। যার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। একসঙ্গে খেলা, সময় কাটানো উপভোগ করেছি। কিন্তু এই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হলে তো সমস্যার।"
advertisement
বর্তমান পরিস্থিতি বায়ো-বাবল ছাড়া ক্রিকেট আয়োজন করা অসম্ভব। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে বেশিদিন ক্রিকেটারদের তার মধ্যে রাখলে একটা মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেক ক্রিকেটারই। বায়ো-বাবল এক কোথায় গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকা। বিরাটের কথায়, "এই জিনিসটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে মানসিক ক্লান্তি আসতে বাধ্য ক্রিকেটারদের মধ্যে। তাই লম্বা সফর সূচি করার আগে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কোহলির আরও যুক্তি, "টুর্নামেন্ট বা সিরিজ কতটা দীর্ঘ হবে সেটা ভাবা দরকার। একটানা জৈব সুরক্ষার মধ্যে থাকলে ক্রিকেটারদের মনের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা ভাবার বিষয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর মত ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। দিনের শেষে একজন ক্রিকেটারের মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।"
advertisement
advertisement
বায়ো-বাবল ফ্যাক্টরের কারণে দেশে ফিরে ক্রিকেট থেকে কিছুদিন দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দুই ক্রিকেটার স্মিথ এবং ওয়ার্নার। বিগ ব্যাশে খেলবেন না দুজনেই। একেবারে ভারতীয় সিরিজ খেলতে নামবেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
'দীর্ঘদিন বায়ো-বাবলের মধ্যে থাকাটা মানসিক চাপ হতে পারে', লম্বা সফরে কাটছাঁটের পক্ষে বিরাট
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement