#মুম্বই: গত কয়েক বছর ধরে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে নেট বোলার হিসেবে রয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন প্যাটিনসন, বোল্ট এবং বুমরাহদের মত বিশ্বমানের বোলারদের থেকে। বাবার মতো ডানহাতে ব্যাট বা বল করেন না তিনি। বাঁহাতি অলরাউন্ডার ক্রিকেটারটি এই প্রথম আইপিএল নিলামে নিজের নাম নথিভূক্ত করেছেন। বেস প্রাইস কুড়ি লাখ। তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে এমন নয়, কিন্তু তাঁর নামের পদবীর জন্য খবরের শিরোনাম দখল করে নিয়েছেন। তিনি অর্জুন তেন্ডুলকর। সচিন তেন্ডুলকারের একমাত্র পুত্র সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্ণামেন্টে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছেন। তবে মাত্র দুটি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। সাত ওভারে দিয়েছেন ৬৭ রান। অতীতে দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব উনিশ টেস্ট ম্যাচ খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার কারণে এতদিন নিলামে অংশ নিতে পারেননি সচিন পুত্র।
সিনিয়র পর্যায় মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন অর্জুন। কিন্তু নেট বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের বল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। যেমন চার বছর আগে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে মিতালি রাজ, স্মৃতি মন্ধনা ও বেদা কৃষ্ণমূর্তিদের বিরুদ্ধে নেটে বল করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ইংলিশ ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর বিরুদ্ধেও বল করেছেন তিনি। নেটে অর্জুনের ইয়র্কার আছড়ে পড়েছিল জনির পায়ে। আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে নেট বোলার হিসেবে বল করেছেন তিনি। নিজেকে বোলিং অলরাউন্ডার বলতেই পছন্দ করেন অর্জুন।
উচ্চতা ভাল। ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারেন তিনি। এমসিসি তরুণ ক্রিকেটারদের হয়ে কাউন্টি দল সারের এক ব্যাটসম্যানকে যে ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন অর্জুন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তুলনা করেছিলেন ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে। অতীতে সচিন নিজে অর্জুনকে আক্রমের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। বিখ্যাত পাকিস্তানি কিংবদন্তির থেকেও টিপস পেয়েছিলেন জুনিয়র তেন্ডুলকর। সচিন বরাবর জানিয়ে এসেছেন ছেলেকে কখনও ক্রিকেটার হওয়ার জন্য চাপ দেননি তিনি। খালি বলেছেন যেটাই করবে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে। এই শিক্ষা সচিন পেয়েছিলেন নিজের বাবা রমেশ তেন্ডুলকারের থেকে।
তবে অর্জুন ক্রিকেটের প্রতি খুবই সিরিয়াস জানিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। নিলামে অর্জুনকে নিতে কোন দল ঝাঁপায় সেটাই দেখার। তবে এগিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষবার আইপিএলে নেট বোলার হিসেবে মুম্বই দলের সঙ্গে আরব আমিরশাহি গিয়েছিলেন তিনি।