Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি মেয়ের পরিবার। প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তার জেরে আত্মহত্যা করে ওই স্কুল ছাত্রী। সেই খবর পেয়ে তার বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সকলের সামনে মৃত প্রেমিকার সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিল প্রেমিক যুবক! কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা?
বাড়ির লোকদের বকাবকিতে অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল বছর সতেরোর ওই স্কুলছাত্রী। মৃতদেহ নামানোর পর তার কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিল এক যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী নাদনঘাটে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওই যুবককে ধরে বেদম মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবকই ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতার আত্মীয়রা।
আত্মঘাতী ওই ছাত্রীর নাম তনিমা মন্ডল। পূর্ব বর্ধমানের নাদন ঘাট থানার দোগাছিয়ায় তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘর থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীদের সাহায্যে মৃতদেহ ঘর থেকে বের করে উঠোনে রাখা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ঠিক তখনই ওই যুবক মৃত তনিমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সকলেই। এলাকার বাসিন্দারা ওই যুবককে ধরে বেদম মারধর করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচে ওই যুবক।
স্থানীয় দোগাছিয়া হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল তনিমা। ওই যুবকের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই যুবক মাঝেমধ্যেই তনিমার বাড়িতে যেত। ফোনেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ওই যুবককে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য তনিমাকে বকাবকিও করেন পরিবারের সদস্যরা। তারই জেরে তনিমা সবার নজরের আড়ালে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সেই খবর পেয়ে তনিমার বাড়িতে গিয়ে সিঁদুর দিয়ে মৃত প্রেমিকার সিঁথি রাঙিয়ে দেয় ওই যুবক। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওই যুবকই দায়ী। বারেবারেই তনিমাকে উত্যক্ত করত ওই যুবক। জোর করে বিয়ে করবে বলেও ওই যুবক জানিয়েছিল। সেই চাপেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।