হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
ভালবাসা মানে...ফেসবুকে রহস্য পোস্ট! বিয়ের একমাসের মাথায় গঙ্গায় ঝাঁপ যুবকের

South 24 Parganas: ভালবাসা মানে...ফেসবুকে রহস্যময় পোস্ট! বিয়ের একমাসের মাথায় গঙ্গায় ঝাঁপ গড়িয়ার যুবকের

দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দেন গড়িয়ার বাসিন্দা অরিজিৎ৷

দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দেন গড়িয়ার বাসিন্দা অরিজিৎ৷

গড়িয়ার বাসিন্দা পেশায় মোবাইল ফোনের ব্যবসায়ী অরিজিতের সঙ্গে পাটুলির বাসিন্দা এক তরুণীর প্রায় ১২ বছরের সম্পর্ক ছিল৷

  • Share this:

অর্পণ মণ্ডল, গড়িয়া: ১২ বছরের দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক। এক মাস আগেই নিজের দীর্ঘদিনের সেই প্রেমিকার সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল। তার পর আজ সকালেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন যুবক। গড়িয়ার বাসিন্দা অরিজিৎ দে নামে ২৬ বছর বয়সি যুবক কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়েই রহস্য তৈরি হয়েছে৷ রহস্য বাড়িয়েছে তাঁর শেষ ফেসবুক পোস্ট নিয়েও৷

এ দিন সকালেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে মোটরবাইক রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন এক যুবক৷ প্রথমে তাঁর পরিচয় জানা না গেলেও মোটরবাইকের নম্বরের সূত্র ধরে পরিচয় জানতে পারে পুলিশ৷

আরও পড়ুন: বাইক রেখে বসেছিলেন চুপ করে, হঠাৎ ঝাঁপ! সাতসকালে ভয়ানক কাণ্ড দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে

জানা গিয়েছে, গড়িয়ার বাসিন্দা পেশায় মোবাইল ফোনের ব্যবসায়ী অরিজিতের সঙ্গে পাটুলির বাসিন্দা এক তরুণীর প্রায় ১২ বছরের সম্পর্ক ছিল৷ দু' জনে গড়িয়ার একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ গত ১৭ জানুয়ারি তাঁদের বিয়ে হয়৷

পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধে সাতটা নাগাদ মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অরিজিৎ৷ গভীর রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁকে ফোন করেন অরিজিতের মা এবং স্ত্রী৷ তখন অরিজিৎ তাঁদের জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসছেন৷ তার পরেও অবশ্য তিনি ফেরেননি৷

আরও পড়ুন: সাহিলের ইচ্ছে ছিল নিকিকে গাড়ি থেকে ধাক্কা দেওয়ার, না পেরেই শ্বাসরোধ করে খুনের পর ফ্রিজে দেহ রেখেছিল!

অরিজিতের বন্ধুরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে আড্ডা মারেন ওই যুবক৷ যদিও সেই সময় তাঁকে কিছুটা হতাশ লাগছিল বলেই দাবি বন্ধুদের৷ এর পরে এ দিন সকালে মোটরবাইক নিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পৌঁছন অরিজিৎ৷ খানিক্ষণ বাইকের উপরে বসে থাকার পরে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি৷ প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ ওই ব্যক্তিই সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের অরিজিতের ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি জানান৷

এর পরেই ওই যুবকের খোঁজে গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷পুলিশ সূত্রে খবর, গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ফেসবুকে একটি রহস্যময় পোস্ট করেন অরিজিৎ৷ সেখানে তিনি লেখেন, 'ভালবাসা মানে অরিজিৎ ১০০ %৷' স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন, নাকি অন্য কোনও কারণে অরিজিৎ এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ এই ঘটনায় স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন অরিজিতের পরিবারের সদস্যরা৷ শোকস্তব্ধ অরিজিতের প্রতিবেশী এবং বন্ধুরাও৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Suicide