Toto Saves Life: স্বামী একদিন মেরে ফেলতে চেয়েছিল তাঁকে ও মেয়েকে, আজ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পরনে শাড়ি, দাপটের সঙ্গে রাস্তায় টোটো চালাচ্ছেন, করছেন রোজগার

Last Updated:

Toto Saves Life: প্রতিদিন চলত নারকীয় অত্যাচার, টোটোর হাত ধরে ভাগ্য বদল ঝুমার !

+
ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম শহরে টোটো চালাচ্ছেন ঝুমা পাত্র 

ঝাড়গ্রাম : মৃত্যুকে খুব সামনে দেখেছে ঝুমা ! একসময় তাঁর মেয়ে এবং তাঁকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল তাঁর নিজের স্বামী। সেখান থেকে সে ফিরে এসেছে। শুধু মারার চেষ্টা নয় মারধর তাঁর জীবনের ছিল রোজকার ঘটনা। সংসারের কথা না ভেবে মাঝপথেই তাঁদেরকে ছেড়ে দিয়ে বেপাত্তা হয়েছিল তাঁর স্বামী। সেখান থেকে এসে একটু একটু করে লড়াই করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছে ঝুমা। অর্থ সংকটে পড়লেও  কখনও পিছন ফিরে দেখেনি বছর সাতচল্লিশের ঝুমা পাত্র। ঝাড়গ্রামে একমাত্র মহিলা টোটো চালক নামে পরিচিত ঝুমা পাত্র নিজের জীবনের সঙ্গে লড়াই করে আজ একজন সফল নারী হয়ে উঠেছে এবং অন্যান্য নারীদের কাছেও সে আজ এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসবেষ্টস ছাউনি দেওয়া ছিটেবেড়ার এক চিলতে ঘরে ছোট মেয়ে দুর্গা এবং মাকে নিয়ে ঝুমার সংসার। প্রতিদিন সকাল হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ঝুমা, জঙ্গলমহলের রাস্তাঘাটে আজ তাঁকে জীবনের পথে উন্নতি হতে পথ দেখিয়েছে। তাঁর জীবনে দারিদ্রতা থাকলেও অশান্তি নেই এখন। এক সময় ঝুমা সচ্ছল ব্যবসায়ী পরিবারের বড় মেয়ে হয়েও আজ সেই টোটোওয়ালা। তাঁর কথায়, “কোনদিন ভাবিনি টোটো নিয়ে আমাকে রাস্তায় বের হতে হবে কিন্তু উপায় নেই বাড়িতে মেয়ে রয়েছে তার মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে হবে । মেয়েকে মানুষ করতে আমার এই পথ বেছে নেওয়া৷’’
advertisement
advertisement
১৯৯৬ এ পারিবারিক সম্বন্ধের মাধ্যমে বাঁকুড়ার বুদ্ধদেব পাত্রের সঙ্গে ঝুমাকে বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা মা। ২২ বছর ধরে তার উপর শারীরিক মানসিক অত্যাচার চলত।
মুখ বুজেই তাঁকে সমস্ত অত্যাচার সহ্য করতে হত। স্বামী উধাও হওয়ার আগে সমস্ত গয়না বেছে নিঃস্ব করে দিয়ে যায় পরিবারটিকে। তারপর থেকেই ঝুমার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হয় জাগে অদম্য জেদ এবং মনে চেষ্টার জোর নিয়ে সে এগিয়ে চলে নিজের জীবন গড়ে তুলতে।
advertisement
ঝুমা তাঁর জীবনে সফল হওয়ার পথ খুব একটা সহজ সরল ছিল না। নানান ধরনের ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সে আজ এই জায়গায় উঠে এসেছে। দু’বছর আগে বাপের বাড়ির সাহায্য নিয়ে বিয়ে দিয়েছে তার বড় মেয়ে মধুমিতাকে। তার ছোট মেয়ে দুর্গা বলে ” বাবা মারধর করত আমাদের অনেক দিন না খেয়ে কাটাতে হয়েছে৷’’
advertisement
ছোট মেয়ের কথা শুনে ঝুমার চোখে জল নেমে আসে, এবং চোখে জল নিয়ে ঝুমার শপথ নিয়ে বলে ” যত কষ্টই হোক মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে ওর স্বপ্ন পূরণ করাই এখন আমার স্বপ্ন।’’  প্রথম দিন টোটো চালিয়ে ২৫ টাকা ভাড়া পেয়েছিল ঝুমা। এখন দৈনিক ৪০০ টাকা তার রোজগার। প্রতিমাসে দেনা শোধ করতে আট হাজার টাকা বেরিয়ে যায়। ঝুমা বলেন প্রথম যেদিন টোটো চালায় রাস্তাঘাট জানতাম না যাত্রীরাই পথ দেখিয়ে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে নিয়ে গেছে তাদের হাত ধরে আজ শহরটাকে আমি চিনেছি ৷’’
advertisement
Buddhadev Bera
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Toto Saves Life: স্বামী একদিন মেরে ফেলতে চেয়েছিল তাঁকে ও মেয়েকে, আজ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পরনে শাড়ি, দাপটের সঙ্গে রাস্তায় টোটো চালাচ্ছেন, করছেন রোজগার
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement