কোথায় গেল গুপ্তধন! সুড়ঙ্গয় উঁকি দিয়ে চলছে প্রাণপণ খোঁজ
- Published by:file 18 user
Last Updated:
মাহাতার বাসিন্দারা বলছেন, "গ্রামের একেবারেই গা দিয়ে বয়ে চলেছে কুনুর নদী। তার পাশেই মিলেছে এই সুড়ঙ্গ। আগে কুনুর নদী ওই জমির পিছন দিয়ে বইতো।
# বর্ধমান : কোথায় গেল গুপ্তধন! পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মাহাতো গ্রামে সকাল থেকে রাত এই প্রশ্নই ঘুরছে। গুপ্তধন এখনও চাপা থাকলে, তা মাটির নিচের কোন অংশে রয়েছে ? জানতে চাইছেন উৎসাহীরা। উত্তর পেতেই হবে। তাই নিরাপত্তা টপকেই চলে অনেকেই চলে যাচ্ছেন সুড়ঙ্গর কাছে।
মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকা স্থাপত্য় যে বেশ প্রাচীন তা মানছেন ইতিহাসের গবেষকরা। এই সুড়ঙ্গ অন্তত পক্ষে তিনশো থেকে চারশো বছরের পুরনো তা সোমবার পরিদর্শন ও খনন কাজের পর জানিয়েছিল রাজ্য সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ। সংগ্রহ করা নমুনা এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে খনন চালানো হবে কিনা তা সেই পরীক্ষার পরই জানা যাবে। একেবারে তলার অংশের মাটি, কাঠ কয়লা, খোলামকুচি বিশ্লেষনের কাজ চলছে। আপাতত বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখেছে ভাতার থানার পুলিশ।
advertisement
মাহাতার বাসিন্দারা বলছেন, "গ্রামের একেবারেই গা দিয়ে বয়ে চলেছে কুনুর নদী। তার পাশেই মিলেছে এই সুড়ঙ্গ। আগে কুনুর নদী ওই জমির পিছন দিয়ে বইতো। অনেক আগে নদী বন্যার সময় গতি পরিবর্তন করে। তখন সেইসব পুরনো নির্মাণ মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকতে পারে। মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসে ভাঙা ইট"। বাসিন্দারা বলছেন, "আশপাশে কি আছে তা খনন করে দেখা হোক। কতদিনের পুরনো নির্মাণ, তা কতদূর বিস্তৃত ছিল, মাটির নিচে গুপ্তধন আছে কি নেই সব কিছুই তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে"।
advertisement
advertisement
ইতিহাসের গবেষক সর্বজিত যশ বলেন, "ভাতার মঙ্গলকোটে অজয় ও কুনুর নদীর তীরের এলাকাকে প্রত্নতত্ত্বের আকর ভূমি বলা হয়। এই এলাকার জনপদ বহু প্রাচীন। দু হাজার বছর আগেও এখানে সভ্যতা থাকার প্রমাণ মিলেছে। মনসা মঙ্গল কাব্যের জন্য পরিচিত এই এলাকা। তাই খনন কার্য হলে ইতিহাসের নিরিখে তা বিফলে যাবে না। বরং অনেক অজানা তথ্য মাটির তলা থেকে উঠে আসতে পারে"।
advertisement
শরদিন্দু ঘোষ
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
February 12, 2020 3:29 PM IST