#বাঁকুড়া: বাঙালির চিরকালের ভ্যালেন্টাইন ডে সরস্বতী পুজোতে প্রেমে না। দৃষ্টিকটু অবস্থাতে তো কোনোভাবেই না, এমনকি প্রকাশ্যে বেরোনো যাবেনা যুগলেও। এমনই সতর্কবার্তা জারি করে বাঁকুড়া শহরে পড়ল একাধিক পোস্টার। প্রেস লাইনে লেখা বজরং দলের এমন পোস্টারকে ঘিরেই তোলপাড় বাঁকুড়ার রাজনীতি। তীব্র প্রতিক্রিয়া যুবদের মধ্যে। পোস্টার দেওয়ার কাজ তাঁদের নয় দাবি ভিএইচপি ও বজরং দলের। নিন্দা তৃনমূলের তরফে ।
বাঙালির কাছে সর্বকালীন ভ্যালেন্টাইন ডে সরস্বতী পুজো। বাগদেবীর পুজো মানেই বাসন্তী শাড়ি আর পাঞ্জাবির যুগলবন্দী। মনের মানুষের হাত ধরে প্যান্ডেল হপিং, পুষ্পাঞ্জলি, একটু নির্জনে সময় কাটানো এতো বাঙালির একেবারে মজ্জাগত। তবে এবারের সরস্বতী পুজোয় যেন প্রকাশ্যে দেখা না মেলে এমন যুগলের। এমন অবস্থায় দেখা গেলে যুগলের বাবা মা এর সাথে আলোচনা বা প্রয়োজনে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে।
বাঁকুড়া শহরে এমনই ফতোয়া জারি করে পোস্টার পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়। পোস্টারে লেখা বিষয়বস্তু অনুযায়ী স্পষ্ট এই ফতোয়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের।
সকালে বাঁকুড়ার কলেজ মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার চোখে পড়তেই শুরু হয়েছে হইচই। প্রকাশ্যে প্রেম বিরোধী এই পোস্টারে তিব্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে যুব সমাজে। সকলেই বলছেন এই ফতোয়া মানুষের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে এই পোস্টার দেওয়ার কথা অস্বিকার করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি সংগঠনের বদনাম করার জন্য এই কাজ রাজ্যের শাসক দল করে থাকতে পারে। তৃনমূল এই পোস্টার কান্ডের দায় অস্বিকার করে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে।
Mritunjoy Das