#পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না এক নং ব্লকের মাদানগর গ্রামে পালিত হল উরশ উৎসব। ছিল খিচুড়ি ভোগের ঢালাও আয়োজন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদিন, মঙ্গলবার সকলেই পেটভুরে খিচুড়ি খান! সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রতি বছর। মাদানগর গ্রামের দক্ষিণপাড়া মসজিদ তলায় অনুষ্ঠিত হল এই উৎসব। প্রায় ২৫ বছর ধরে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে গ্রামের মানুষরা। নিজেদের উদ্যোগেই প্রতিবছর স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে এই উৎসব উদযাপিত করে থাকেন। স্থানীয়রাই চাঁদা তুলে টাকা যোগাড় করেন, নিজেরাই রান্না করেন খিচুড়ি। এর পর সকলে একসঙ্গে বসে সেই খিচুরি খান। সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে গণেশকে তুলে নেন নিঃসন্তান দম্পতি! রোমহর্ষক পুজোর রীতি 'এই' শহরে
মাদানগর গ্রাম এবং আশপাশের গ্রাম মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক ভক্তবৃন্দ পীরের মাজারে বসে মঙ্গলবার খিচুড়ি ভোগ খান। স্থানীয়দের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য, পীর গোরাচাঁদ বা হজরত পীর গোরাচাঁদ বা গোরাই পীর হলেন মধ্যযুগে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব থেকে বাংলায় আগত এক সুফি সন্ত। তিনি ধর্মপ্রচারে আসেন। লোক মুখে শোনা যায়, অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই পীরের স্থানীয় হিন্দু রাজাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে এবং লড়াইয়ে তিনি নিহত হন। বসিরহাটের হাড়োয়ায় বিদ্যাধরী নদীর তীরে তাঁর সমাধি-দরগা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গঙ্গা ভাঙনের জেরে ভোগান্তি মানুষের! আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা
হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধাভক্তি করে। পীর গোরাচাঁদের আসল নাম পীর হজরত শাহ সৈয়দ আব্বাস আলী রাজী। পিতার নাম হজরত করিম উল্লাহ এবং মাতার নাম মায়মুনা সিদ্দিকা। আনুমানিক ১২৬৫ খ্রিষ্টাব্দে আরবের মক্কা নগরে জমজম মহল্লায় বিখ্যাত কোরায়েশ বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পীর হজরত শাহজালাল এঅমনির কাছে তরীকা সুফীমতে দীক্ষাগ্রহণের পর গুরুর নির্দেশে ভারতবর্ষে ধর্মপ্রচারে আসেন।
MALOBIKA BISWAS
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan