হুগলি: এ আক্ষরিক অর্থেই বাঞ্চারামের বাগান৷ তবে বাঞ্ছারাম এখানে দীপ৷ বাড়ির ছাদে গবেষণা৷ জবা ফুলের নতুন ৩০ রকম প্রজাতি আবিষ্কার৷ সে কী মুখের কথা! মিলেছে জাতীয় স্বীকৃতিও৷ হুগলির সিঙ্গুরের বলরামবাটীর বাসিন্দা দীপ চক্রবর্তী। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের স্নাতকোত্তক বটানির ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই জবার প্রতি তার ভালবাসা৷ নতুন ধরনের জবা দেখলেই তার ডাল নিয়ে আসতেন বাড়িতে৷ ভাবতে থাকেন এই গাছ থেকে নতুন প্রজাতির জবা গাছ তৈরি করতে হবে৷ বটানির এই ছাত্র এক এক করে ৩০ রকমের নতুন জবা আবিস্কার করেন৷
বেঙ্গল সানরাইজ, সিটি অফ জয়, স্পিরিচুয়াল অফ মধুবনী, ডার্ক মাদার অফ বেঙ্গল, মাদার্স অফ সিঙ্গুর এসবই দ্বীপের তৈরি জবা ফুলের নতুন প্রজাতির নাম। এই আবিস্কারের জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত হয়েছে আগেই৷ এবার ম্যাজিক বুকস অফ রেকর্ডেও নিজের নাম নথিভুক্ত করল হুগলির দীপ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: বড় খবর! শুক্রবার রাতে সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে যেতে পারেন অমিত শাহবর্তমানে দীপ রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। স্নাতক পড়াকালীন সময়ে জবা ফুলের নতুন প্রজাতি সম্পর্কে একটি লেখা বের হয়, যা বর্তমানে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বটানির পাঠ্যবইয়ে জায়গা পেয়েছে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল হিবিসকাস সোসাইটিতে নথিভুক্ত হয়েছে তাঁর ১২টি প্রজাতির জবা। ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার মতন বিভিন্ন জায়গা থেকে জবা ফুলের প্রজাতি নিয়ে এসে ভারতীয় জবা ফুলের সঙ্গে মেলবন্ধন করিয়ে নতুন প্রজাতির জবা ফুল তৈরি করাই নেশা তার৷ কালো, বেগুনি , সাদা, গোলাপি নানান রঙের জবার রয়েছে দীপের বাড়ির ছাদে।
দীপের কাকা বলেন, "দীপের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়৷ তার মধ্যেই বাড়ির ছেলের এত বড় সাফল্যে আমরা খুশি৷" ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর দীপ জানায়, "এত বছরের চেষ্টায় সুপ্রসিদ্ধ জায়গা থেকে খেতাব অর্জন করা আনন্দের বিষয়৷ কিন্তু তার থেকেও বেশি আনন্দ হয় যখন নতুন প্রজাতির ফুল তৈরি করি।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।