#নন্দীগ্রাম: রাত পোহালেই ভোট। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট দেখে ফেলেছে নন্দীগ্রাম। তবে এমন হটস্পট ভোট আগে কখনও দেখেছে বলে মনে করতে পারছেন না নন্দীগ্রামের মানুষ। এদিন সকাল থেকেই তেখালি থেকে রেয়াপাড়া, বয়াল থেকে টেঙ্গুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছড়াছড়ি। সকাল থেকে চারপাশে চোখ ফেরালেই দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। নন্দীগ্রাম নিয়ে দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শাসক দল। মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্য বারবার বলে দিয়েছেন, মাস্ক পরে মহিলারা ভোট দিতে যাবেন। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোট দেওয়া থেকে কাউকে বিরত না করতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভায় যেভাবে মহিলাদের উপস্থিতি নজরে এসেছিল তাতে তৃণমূল কংগ্রেস আশাবাদী। এই নির্বাচনে শুধু নন্দীগ্রামের জন্য ৩৫৫ বুথে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। সব বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র দুহাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে নন্দীগ্রামের জন্য। বুধবার সকাল থেকেই অবশ্য দেখা গেল, কোথাও বিএসএফ, কোথাও সিআরপিএফ রুট মার্চ করছে। গতকাল রাত থেকেই অবশ্য নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় বোমাবাজির খবর এসেছে। তার মধ্যে বয়াল, গোকুলনগরের মতো এলাকা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। তবে প্রতিটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকেই উড়ে গেলেন হুগলি ও হাওড়া জেলার প্রচারে৷ নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী প্রচার সারবেন সিঙ্গুরে গিয়ে। জমি আন্দোলনের সুতিকা গৃহে আগামীকাল যখন ভোট, তার আগের দিন জমি আন্দোলনের আরেক কেন্দ্রবিন্দুতে গিয়ে প্রচার সারবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দোপাধ্যায় যে জমি আন্দোলনকে মনে রেখেছেন সেই বার্তা দেওয়া হল এর মাধ্যমে। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্য নিজের অফিসে বসে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করে চলেছেন সকাল থেকেই। অন্যরকম রণংদেহী মেজাজের ভোট হলেও নন্দীগ্রামের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা একই রাখা হয়েছে। সেখানে কোনও বদল আনা হচ্ছে না।