Travel Tips: অফিস ছুটি নিতে হবে না! কাঠফাটা গরমে একদিনেই ঘুরে আসুন এই শান্ত-সবুজ গ্রামে, কোথায় জেনে নিন

Last Updated:

Travel Tips: রামানন্দ গোস্বামীর মন্দিরে পুতুল দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। তখন কাছেপিঠে পুতুল পাওয়া যেত না। তাই অন্য জায়গা থেকে পুতুল কিনে এনে মন্দিরে পুজো দিতে শুরু করেন ভক্তরা।

+
পাঁশকুড়ার

পাঁশকুড়ার প্রাচীন মন্দির

পাঁশকুড়া: সপ্তাহের শেষে প্রাচীন মন্দির-সহ নিরিবিলি জায়গায় ঘুরতে চাইলে অবশ্যই আসুন পাঁশকুড়ার এই জায়গায়। এখানে রয়েছে প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন মন্দির। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ঘোষপুর এলাকার এরাপুরের গোঁসাই মন্দির। দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথে ক্ষীরাই এবং হাউর স্টেশনের মাঝে রেললাইনের উত্তর দিকে রয়েছে এই গোঁসাই মন্দির। মন্দিরটি আসলে বৈষ্ণবসাধক রামানন্দ গোস্বামীর সমাধিসৌধ। জনশ্রুতি, রামানন্দ ছিলেন শ্রীচৈতন্যদেবের পার্ষদ। ১৫১০ সালে চৈতন্যদেব তমলুক হয়ে পুরী গিয়েছিলেন। তৎকালীন কটক রাস্তা সংলগ্ন এরাপুরে আসার পরে রামানন্দ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি সেখানেই থেকে যান। তাঁর দেহত্যাগের পর গড়ে ওঠে মন্দির।
চৈতন্যদেবের প্রতীক্ষায় পশ্চিম দিকে মুখ করে সাধন-ভজন করতে করতে একদিন দেহত্যাগ করেন রামানন্দ। তাঁকে সমাধিস্থ করে সেখানে মন্দির গড়ে তোলা হয়। মন্দিরটি বেশ প্রাচীন। ১৮৯৮-৯৯ সালে তৎকালীন বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মন্দিরটি ভেঙে ওই জায়গা দিয়ে রেললাইন পাতার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তখন সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে রেলপথ নির্মাণের সময়ে মন্দিরটিকে রক্ষা করেই নকশা করা হয়েছিল। ওই মন্দিরের পাশ দিয়েই দ্রুত গতিতে ছুটে চলে নানা ট্রেন। রামানন্দ গোস্বামীর মন্দিরে পুতুল দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। তখন কাছেপিঠে পুতুল পাওয়া যেত না। তাই অন্য জায়গা থেকে পুতুল কিনে এনে মন্দিরে পুজো দিতে শুরু করেন ভক্তরা।
advertisement
কথিত আছে, চিরাচরিত ভাবে গোঁসাই বাবার মাহাত্ম্যে মাটির পুতুল দিয়ে পুজো দিলে অনেকেই সন্তান লাভ করেন। আবার সন্তান লাভের পর অনেকেই আবার ওই পুতুল দিয়ে পুজো দেন ওই রামানন্দ গোঁসাই মন্দিরে।
advertisement
হরেক কিসিমের পুতুল তৈরি হয় এরাপুরে। হাত জোড় করা ছেলে পুতুল, মেয়ে পুতুল, বর-কনে পুতুল, গোরু-বাছুর পুতুল ইত্যাদি। বিশেষ অর্ডার অনুযায়ী বড় মাপের ছেলে এবং মেয়ে পুতুল তৈরি করেন এরাপুরের মৃৎশিল্পীরা। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, যার জন্য মানত, তার উচ্চতা অনুযায়ী পুতুল কিনে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে এখানে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।
advertisement
এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার আগেই নাট মন্দিরের ভিতর অসংখ্য ভক্তরা নিজেরাই ফল কাটতে বসে পড়েন। লাইন দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে গোল করে বসে ফল কাটা হয় পুজো দেওয়ার জন্য। কেউ মিষ্টান্ন, কেউ বা ফল-চিড়ে দিয়ে পুজো দেন গোঁসাই বাবার মন্দিরে। আবার শিশুদের অন্নপ্রাশনের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েও অনেকেই পুজো দিতে আসেন। পাঁশকুড়ার এই সুপ্রাচীন মন্দির বিভিন্ন জেলাবাসীর কাছে এক অনন্য নজির গড়ে তুলেছে। দূর-দূরান্ত বিভিন্ন জেলা থেকেও বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন এই মন্দিরে। চাইলে যেকোনও উইকেন্ডে গ্রাম্য পরিবেশে  প্রাচীন এই মন্দিরে ঘুরে আসতে পারেন।
advertisement
সৈকত শী 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Travel Tips: অফিস ছুটি নিতে হবে না! কাঠফাটা গরমে একদিনেই ঘুরে আসুন এই শান্ত-সবুজ গ্রামে, কোথায় জেনে নিন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement