জঙ্গিদের সাজা ঘোষণায় খুশি, আরও সতর্ক থাকতে হবে, বলছে খাগড়াগড়
- Published by:Simli Raha
- news18 bangla
Last Updated:
বিস্ফোরণের পর ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় গুলসানা বিবি ওরফে রাজিয়া এবং হালিমা বিবি নামে দুই মহিলাকে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক।
Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: প্রধান অভিযুক্ত কওসর সহ অন্যান্যদের সাজা ঘোষণায় খুশি বর্ধমানের খাগড়াগড়। বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত কওসর সহ ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অনেক দেরিতে হলেও অভিযুক্তরা সাজা পাওয়ায় খুশি খাগড়াগড় সহ বর্ধমানের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, এই সাজা এই ধরনের কাজে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা কমাবে। সেই সঙ্গে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন বাসিন্দাদের অনেকেই।
advertisement
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দুপুরে বর্ধমান শহর লাগোয়া খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল শাকিল গাজি নামে এক জঙ্গির। গুরুতর আহত হয় আব্দুল হাকিম নামে আরও একজন। প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই টনক নড়ে পুলিশের।
advertisement
advertisement
এই বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের যোগ স্পষ্ট হয়। বিস্ফোরণের পর ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় গুলসানা বিবি ওরফে রাজিয়া এবং হালিমা বিবি নামে দুই মহিলাকে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক। জানা যায়, গোপনে আইইডি বানানোর সময় অসাবধানতায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার তদন্তে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্তে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের সঙ্গে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া মাদ্রাসা, নদিয়া, বীরভূম মুর্শিদাবাদ, অসমের জঙ্গি যোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বর্ধমানকে সেফ জোন হিসেবে বেছে নিয়ে সেখানে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। সেই বিস্ফোরক পাচার করা হতো অন্যত্র। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর পাশেই মাঠপাড়া এলাকায় আর এক জঙ্গি ডেরা থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়। পাশেই বাবুরবাগে ছিল কওসরের ডেরা। সেখানেও দোতলা বাড়ির ওপরতলা থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরণের পর পরই গা ঢাকা দেয় জঙ্গিরা। শিমুলিয়ায় মেলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ।
advertisement

নামের তালিকা তৈরি করে তা পোস্টার আকারে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেয় এনআইএ। দীর্ঘ তদন্তের পর একে একে খাগড়াগড়ের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে এনআইএ। বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের জেরে রাতারাতি খাগড়া ঘরের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে। আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোড়ন ফেলেছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কান্ড। সেই ঘটনায় জড়িতদের সাজা ঘোষণার খবরে খুশি সেখানকার বাসিন্দারা।তাঁরা বলছেন, দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে সাজা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে আমরা খুশি।তবে আর যাতে কোনওদিন জঙ্গিরা বর্ধমানের মতো শান্ত এলাকায় ঘাঁটি গাড়তে না পারে সে ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। তাঁদের অভিযোগ, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরও শিক্ষা নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। এখনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্টই ঢিলেঢালা। সেই অসতর্কতার সুযোগে নিয়ে যাতে জঙ্গিরা তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ না করতে পারে সে ব্যাপারে আরও বেশি তৎপরতা প্রয়োজন।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
February 10, 2021 11:22 PM IST