East Bardhaman News: রাজকীয় স্থাপত্যে অবহেলার ছাপ, সংরক্ষণ না হলে হারাবে বর্ধমানের ইতিহাস

Last Updated:

সারাদিনের কাজকর্মের শেষে একটু নিরিবিলিতে, প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটানোর আকাঙ্ক্ষা কার না থাকে?সেকালের রাজা-মহারাজ থেকে একালের সাধারণ মানুষ, সকলেই চেয়েছে এই একান্ত অবসর। নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য মহারাজ বিজয়চাঁদ মহতাব তৈরি করেছিলেন এই স্থান যা আজ অবহেলায় পরে রয়েছে।

+
বিজয়

বিজয় বাহারের ছবি

বর্ধমান, সায়নী সরকার: সারাদিনের কাজকর্মের শেষে একটু নিরিবিলিতে, প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটানোর আকাঙ্ক্ষা কার না থাকে?সেকালের রাজা-মহারাজ থেকে একালের সাধারণ মানুষ, সকলেই চেয়েছে এই একান্ত অবসর। নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য মহারাজ বিজয়চাঁদ মহতাব তৈরি করেছিলেন এই স্থান যা আজ অবহেলায় পরে রয়েছে। বর্ধমানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রাজপরিবারের নানান স্মৃতি। কার্জন গেট, রাজবাড়ি, গোলাপবাগ এমন বহু স্থাপত্য আজও বহন করে চলেছে সেই ঐতিহ্য।এমনই একটি সৃষ্টি বিজয় বিহার।
বর্ধমান শহরের উত্তর দিকে গোলাপবাগের কাছে রমনা বাগান।শোনা যায়, রামনা নামের এক ডাকাত সেখানে বাগান করে থাকতেন।বর্ধমানের রাজ পরিবার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখান থেকে সেই ডাকাতকে উৎখাত করা হয়। পরবর্তী সেই এলাকাতেই মহারাজ বিজয় চাঁদ মহাতাব একটি সুন্দর দর্শনীয় বাগান গড়ে তোলেন যার নাম দিয়েছিলেন বিজয় বিহার।মহারাজ বিজয়চাঁদ ব্রাহ্ম ধর্মে আসক্ত হওয়ার পরেই এই উদ্যান তৈরি করেছিলেন।মূলত নিরিবিলিতে সময় কাটানো এবং ধ্যান করার জন্যই এই স্থানটি তৈরি করা হয় বলে জানা যায়। এর চারিদিকে রয়েছে ২০ ফুট উচ্চতার দেওয়াল আর এই দেওয়ালে লেখা শঙ্করাচার্যের উক্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও ছিল না বিদ্যুৎ পরিষেবা, অবশেষে বসছে খুঁটি! ঝলমলে আলোর আশায় গ্রাম
ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, এর ভিতরে ঢুকলেই দেখা যায় একটি বাঁধানো পুকুর। রাজা এই পুকুরের নাম রেখেছিলেন মুক্তি গিরি। পুকুরের উত্তর দিকে রয়েছে বিজায়ানন্দেশ্বর শিব। এছাড়াও পুকুরের পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে দু’টি মন্দির। পরবর্তী সয়য়ে এখানেই দক্ষিণ দিকে বিজয়চাঁদের মৃত্যুর পর তার ছাই দিয়ে একটি স্মৃতি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। রাজ পরিবারে মৃত্যুর পর পোড়া ছাই দিয়ে মন্দির তৈরি করার একটি প্রথা ছিল। এটিকে বলা হয় সমাজবাড়ি।তিনি বলেন, যতদিন ছোট মহারাজ কুমার প্রনয় চাঁদ জীবিত ছিলেন এই জায়গাটি তিনি দেখাশোনা দেখাশোনা করার চেষ্টা করতেন এবং বছরে দুবার আসতে এখানে কিন্তু বর্তমানে এই জায়গা অবহেলায় পরে রয়েছে।রাজার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে সংস্কারের প্রয়োজন।
advertisement
advertisement
প্রাচীর ঘেরা এই স্থাপত্যে এককালে শঙ্করাচার্যের শ্লোক লেখা থাকত, যা ছিল একপ্রকার শিক্ষার ধারা। কালের নিয়মে, সেই সোনালী ইতিহাস ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে।’বিজয় বিহার’ আজ অনেকটাই অবহেলায় ঢাকা।মহারাজ বিজয়চাঁদ মহতাবের স্মৃতি, ধর্মীয় চেতনা এবং রুচিশীল স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে এই বিজয় বিহার ও ‘সমাজবাড়ি’-কে বাঁচিয়ে রাখতে অবিলম্বে প্রয়োজন সংস্কার এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: রাজকীয় স্থাপত্যে অবহেলার ছাপ, সংরক্ষণ না হলে হারাবে বর্ধমানের ইতিহাস
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement