চাষাবাদ করেই কেটেছে জীবন, অথচ দেহদান করে সমাজকে নতুন পথ দেখালেন তমলুকের সাধারণ কৃষক
- Reported by:Saikat Shee
- hyperlocal
- Published by:Nayan Ghosh
Last Updated:
Inspiring Farmer Story : প্রত্যন্ত গ্রামের এক কৃষক যা করে দেখালেন অনেকেই তা ভাবতে পারে না! মারা গেলেও তাঁর এই কাজ অনুপ্রেরণা দেবে অনেককেই।
তমলুক, সৈকত শী: প্রত্যন্ত গ্রামের এক কৃষক যা করে দেখালেন, অনেকেই তা ভাবতে পারেন না! মারা গেলেও তাঁর এই কাজ অনুপ্রেরণা দেবে অনেককেই। তমলুকের রামতারক হাট এলাকার বাহির আগড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন প্রসাদ চন্দ্র জানা। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৭৩। আজীবন চাষবাস নিয়েই মেতে ছিলেন। শৈশবে খুব বেশি দূর স্কুলে যাওয়া হয়নি। সেই অর্থে পুঁথিগত শিক্ষা ছিল না ওই ব্যক্তির। তবুও ওই ব্যক্তি যা করলেন, তা সমাজের কাছে এক দৃষ্টান্ত!
তমলুকের এই প্রত্যন্ত গ্রামের প্রসাদ চন্দ্র জানা করে দেখালেন, ইচ্ছে থাকলে সব কিছু হয়। আর তার মৃত্যুর পর তাঁর ইচ্ছে অনুসারেই বাড়ির লোক দেহ তুলে দিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বার্থে তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের হাতে। বর্তমান সময়ে মৃত্যুর পর অঙ্গদান বা দেহদান ধীরে ধীরে সচেতনতা বাড়ছে। তবুও এই ২০২৫ সালে এসে বহু মানুষের মধ্যে মৃত্যুর পর অঙ্গদান বা দেহ দান নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে। শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও বহুলভাবে প্রচলিত হয়নি মৃত্যুর পর অঙ্গদান বা দেহদান। আর সেটাই করে দেখালেন প্রত্যন্ত গ্রামের এক কৃষক।
advertisement
আরও পড়ুন : বাবু কার্তিক, জমিদার কার্তিক…! দিঘার রাস্তায় নয়া আকর্ষণ, দেখেই দাঁডিয়ে পড়ছেন পর্যটকরা, দাম নাগালের মধ্যেই
advertisement
প্রসাদ চন্দ্র জানার শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে মরনোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার অনুযায়ী ওঁনার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে দেহদান করা হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে একদিন প্রসাদ চন্দ্র জানা এগিয়ে আসেন মরণোত্তর দেহদানের জন্য। ২০২২ সালে দুর্গাপুজোর সময় কোলাঘাটের একটি পুজো কমিটি আয়োজন করেছিল মরনোত্তর দেহ দানের ক্যাম্প। ওই ক্লাবের শিবিরে প্রসাদ চন্দ্র জানা অঙ্গীকার করেন মরণোত্তর দেহদানের। তাঁকে এই কাজে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করেছেন পড়শি প্রশান্ত সামন্ত।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রসাদ চন্দ্র জানা মৃত্যুর আগের দিন হাসপাতালে যাওয়ার সময় গাড়িতে পরিবারের সদস্যদের বলে গিয়েছিলেন, “আমি যদি মারা যাই তোরা, আমার দেহদান করে দিবি হাসপাতালে।” ওনার শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে পরিবারের সম্মতি নিয়ে তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওঁনার দেহ দান করা হয়। বর্তমান সময়ে যেখানে এখনও তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের মধ্যে মরণোত্তর দেহদানে কুণ্ঠা রয়েছে, সেখানেই প্রত্যন্ত গ্রামের এক কৃষক এই কাজ করে দেখালেন। যা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Purba Medinipur,West Bengal
First Published :
Nov 15, 2025 6:21 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
চাষাবাদ করেই কেটেছে জীবন, অথচ দেহদান করে সমাজকে নতুন পথ দেখালেন তমলুকের সাধারণ কৃষক










