Summer Vacation| Summer Travel|| সংস্কারের অভাব! ধ্বংসের মুখে প্রাচীন সূর্য মন্দির, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন

Last Updated:

Ancient Sun Temple Onda Bankura: রেখা দেউল নামে পরিচিত এই সূর্য মন্দির মল্ল রাজাদের রাজত্বকালের আগে তৈরি হয়েছিল নাকি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।

#বাঁকুড়া: বাঁকুড়া ওন্দা থানার অন্তর্গত সানতোড় পঞ্চায়েতের অধীনস্থ সোনাতপল গ্রাম। আর এই গ্রামের রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস। বাঁকুড়া শহর থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার যাওয়ার পর বাঁদিকে গিয়ে একটি রেলগেট রয়েছে আর সেই রেল গেটের পাশের রাস্তা ধরে প্রায় ৪ কিলোমিটার গেলেই ওই সোনাতপল গ্রামে অনায়াসে পৌঁছানো যাবে। এই গ্রামে রয়েছে হাজারো বছরের প্রাচীন সূর্য মন্দির ৷ রেখা দেউল নামে পরিচিত এই সূর্য মন্দির মল্ল রাজাদের রাজত্বকালের আগে তৈরি হয়েছিল নাকি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। এই মন্দিরটির নাম সূর্য মন্দির হলেও মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা ছোট্ট একটি শিবলিঙ্গ দেবতা রূপে পূজিত হয়ে আসছেন বহু বছর। স্থাপত্য শৈলীটি লম্বায় বক্ররেখার মতো যা দেউল নামে পরিচিত ৷ প্রায় 60 ফুট লম্বা, চারদিক চতুর্ভুজের মতো বেষ্টনী, পুরানো সরু ইটের দিয়ে তৈরি ৷ এই সূর্য মন্দিরের গায়ে ভাস্কর্যশিল্পের কারুকার্য খুবই আকর্ষনীয় এবং নিখুঁত। মন্দিরের বড় চূড়াটি অর্ধগোলাকার ৷
এই ধরনের দেউল রয়েছে এখনও তৎকালীন রাঢ়বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। বর্ধমানে রয়েছে সাতদেউলা, বাঁকুড়ার সোনাতপলের এই রেখা দেউল এবং দেউলঘাট রয়েছে পুরুলিয়ায়৷ বেশিরভাগ মন্দির আজ ধ্বংসের মুখে। তবে এখনও রেখা দেউলের গায়ে দেখা যায় সূক্ষ্ম কাজ ৷ হাজারো বছরের প্রাচীন এই সূর্য মন্দির এখন সংস্কারের অপেক্ষায়। ওই মন্দির প্রবেশদ্বারের গেট ভেঙে পড়েছে এবং আগাছা জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে এই মন্দির প্রাঙ্গণ। এই মন্দিরটিকে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের জাতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ। কিন্তু তারপরও হুশ নেই প্রশাসনের। স্থানীয়দের দাবি, এত পুরানো একটা মন্দির ভেঙে পড়ছে সংস্কারের অভাবে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই দক্ষিণের জেলায় বৃষ্টি শুরু, শনিবার থেকে আমূল বদলাবে আবহাওয়া, জানুন পূর্বাভাস...
এই প্রাচীন মন্দিরের সংরক্ষণের কথা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানিও কোনো কাজ হয়নি। এখানে যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত নেই ৷ একখানা সরু রাস্তা থাকলেও বর্ষাকালে তা পুরোপুরি বেহাল হয়ে পড়ে৷ মন্দির চত্বর আগাছায় পরিপূর্ণ ৷ মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন গ্রামবাসী নিযুক্ত থাকলেও তাঁর একার পক্ষে এই স্থাপত্যে রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব নয়৷ এলাকাবাসীর দাবি যদি এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় তাহলে এই গ্রামের বাসিন্দাদের একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হবে এবং কর্মসংস্থানও গড়ে উঠবে।
advertisement
advertisement
যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই মন্দিরকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সেখানে এই হাজার বছরের পুরনো সূর্য মন্দির আজ সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের মুখে। এই মন্দির যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে মন্দিরের হাল পুনরায় ফিরবে এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য একটা সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে এই সোনাতপল গ্রামের সূর্য মন্দির। এখন দেখার বিষয় কবে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে এই মন্দির সংস্কারের জন্য।
advertisement
JOYJIBAN GOSWAMI
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Summer Vacation| Summer Travel|| সংস্কারের অভাব! ধ্বংসের মুখে প্রাচীন সূর্য মন্দির, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement