Jhargram News: পরম্পরা মেনে জঙ্গলমহলে পালিত হয় পাহাড় পুজো, জানুন ইতিহাস

Last Updated:

প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে প্রতিবছর পাহাড়কে দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন এলাকার মানুষ, তিনদিনের এই পুজো এবং মেলাতে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে।

+
কানাইসোর

কানাইসোর পাহাড় পুজো 

ঝাড়গ্রাম: প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে শুরু হয়েছিল এই পুজো, তবে পরম্পরা মেনে প্রতিবছর বৃষ্টির শুরুতে বেশ আড়ম্বর সহকারে পুজো হয়। এটাই হয়ত গ্রামীণ এই পাহাড়ি এলাকায় সর্বশ্রেষ্ঠ পরব। আর এই পুজো পার্বণকে ঘিরে বহু মানুষের সমাগম হয় এখানে। জঙ্গলমহলে প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে বহু বছর আগে শুরু হয় পাহাড়পুজো। দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয় পাহাড়কে। যার ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় এলাকার মানুষ, এমনই মতে শুরু হয় পূজার্চনা। সেই মত পরম্পরা মেনে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় পাহাড় পুজোর। আর এই পুজোকে ঘিরে বসে মেলা, লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় পাহাড় পুজো দেখার জন্য।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সঞ্চয় একদল দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার! কারণ চোখে জল আনবে
বিভিন্ন পুজোর কথা তো শুনেছেন। তবে শুনেছেন কি পাহাড়কেও দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়? হ্যাঁ, প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো করা হয় প্রতিবছর। বছরের আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার বেলপাহাড়ির কানাইসোর পাহাড় পুজো করা হয়। পুজোয় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এবারও ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় কানাইসোর পাহাড় পুজোয় সামিল হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ । প্রতি বছর আষাঢ়ের তৃতীয় শনিবার থেকে মাত্র তিন ধরে হয় মেলা। মেতে ওঠেন বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ।
advertisement
প্রসঙ্গত সবুজে ঘেরা জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে এক প্রান্তে রয়েছে একাধিক ছোট বড় পাহাড়। সারা বছর যেমন ঘোরার এক অন্যতম ডেস্টিনেশন এই পাহাড় তেমনি বছরের নির্দিষ্ট দিনে পাহাড় পুজোতেও হাজার হাজার পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের ভিড় লেগে থাকে। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় গাড়রাসিনি, খড়িডুংরি সহ যে সমস্ত পাহাড় পুজো অনুষ্ঠিত হয় তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পাহাড় পুজো হল এই কানাইসোর পাহাড় পুজো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কানাইসোর পাহাড় পুজো অনেক প্রাচীন। মূলত এখানকার আদি বাসিন্দারা চাষবাসের আগে প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো করে থাকেন। লোকবিশ্বাস মতে এই পাহাড় পুজো করলে চাষবাস ভালো হবে। অতিবৃষ্টিতে কেউ বানভাসি হবে না। হড়কাবান হবে না। তাই চাষবাস শুরু করার আগে কৃষিজীবি সবাই পাহাড়ে পুজো দেন।
advertisement
advertisement
স্থানীয় সূত্র মতে, বহু প্রাচীন সময় থেকেই এই পাহাড়ে ঢেঙাম গ্রামের মাহালি সম্প্রদায় পুজারী হিসেবে রয়েছেন। অন্যান্য গরামথানের মত পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়ার মূর্তি উপবিষ্ট করে পুজো করা হয়। পুজোয় একাধিক উপাচার মানা হয়।। পাহাড় পুজো ঘিরে বসে মেলা। এই মেলাতে লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সমস্ত রকমের বাদ্যযন্ত্র ও কৃষি কাজের নানান সামগ্রী পাওয়া যায়।
advertisement
বছরে নির্দিষ্ট সময়ে এই পুজোকে কিরে উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। বহু মানুষ এই পুজো দেখার জন্য পাহাড়ে ওঠেন। স্বাভাবিকভাবে বর্ষার শুরুতে এই পুজোয় মাতে আট থেকে আশি সকলে।
রঞ্জন চন্দ
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: পরম্পরা মেনে জঙ্গলমহলে পালিত হয় পাহাড় পুজো, জানুন ইতিহাস
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement