Jhargram News: প্রযুক্তির প্রসারে আজ তা অবলুপ্তির পথে... তবুও কুটির শিল্পই টিকিয়ে রেখেছে দুধিয়ানালা গ্রামের পরিবারগুলিকে

Last Updated:

পেট ভরানোর জন্য একমাত্র ভরসা বাঁশের তৈরি কিছু পণ্য — ঝুড়ি, চালুনি, ঝাঁটা বা কুলো। সেগুলোরও বাজার দর আর নেই আগের মতো নেই। প্লাস্টিক আর সস্তা শিল্পজাত পণ্যে ভরে গিয়েছে বাজার।

+
বাঁশের

বাঁশের ঝুড়ি বুনছেন মহিলা

ঝাড়গ্রাম: আধুনিকতার জোয়ারে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ কুটির শিল্প। ক্রমেই ঘটে চলেছে প্রযুক্তির প্রসার। হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ সংস্কৃতির অনেক কিছুই। নতুন প্রজন্ম ঝুঁকে পড়ছে যন্ত্র সভ্যতার সংস্কৃতির দিকে। এর ফলে প্রকৃতির সেই পুরাতন সংস্কৃতি ক্রমাগতভাবেই বিলীন হতে চলেছে। গ্রামীণ সংস্কৃতির অনেকটাই চোখে পড়ে না আগের মতো। তারই এক নির্মম প্রমাণ ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের দুধিয়ানালা গ্রাম।
এই গ্রামে বাস করে প্রায় ১০০টি ডোম জনজাতির পরিবার। যাদের জীবিকা দীর্ঘদিন ধরেই বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র তৈরির ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন সেই কাজেই টান পড়েছে, টান পড়েছে সংসারের চালাতে। আর এই জীবনসংগ্রাম যেন প্রতিদিনই আরও কঠিন হয়ে উঠছে তাদের কাছে। দুধিয়ানালার বাসিন্দারা পেট ভরানোর জন্য একমাত্র ভরসা, বাঁশের তৈরি কিছু পণ্য — ঝুড়ি, চালুনি, ঝাঁটা বা কুলো। সেগুলোরও বাজার দর আর নেই আগের মতো নেই। প্লাস্টিক আর সস্তা শিল্পজাত পণ্যে ভরে গিয়েছে বাজার। হাতে গোনা কিছু জিনিস বিক্রি হলেও দাম মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা। এত অল্প দামে তৈরি পণ্যে শ্রমের দাম ওঠে না, সংসার চালানো দূরের কথা।
advertisement
ডোম সম্প্রদায়ের মানুষদের অনেকেই জানান, আগে জমিতে দিনমজুরির কাজ করে কিছুটা সাপোর্ট পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেই সুযোগও নেই। কারণ, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ঢুকে পড়েছে। চাষ থেকে ফসল তোলা — সব কিছুই এখন যন্ত্রনির্ভর। ফলে হাতে কাজ নেই, পেটে অন্ন নেই। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা নরেন কালন্দী জানালেন, “বাঁশ কেটে ঝুড়ি বানাই, চালুনি বানাই, সকাল থেকে রাত অবধি খেটে খেটে ২০-২৫ টাকার জিনিস বিক্রি হয়। এতেই সংসার চলে কেমন করে। আগের মতচাহিদা নেই আর। সব বাজারেই এখন প্লাস্টিকের জিনিস।” তাঁদের মতে, এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় — সরকারি সহযোগিতা।
advertisement
advertisement
বিকল্প আয়ের পথ, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা পেলে কিন্তু এই পেশা তারা ছেড়ে দিতে চান না। বরং আধুনিক রূপে পুরানো শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তারা। ডোম জনজাতির এই পরিবারগুলোর দাবি, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে তারা আবারও মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে।
advertisement
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: প্রযুক্তির প্রসারে আজ তা অবলুপ্তির পথে... তবুও কুটির শিল্পই টিকিয়ে রেখেছে দুধিয়ানালা গ্রামের পরিবারগুলিকে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement