Purba Medinipur News: এই না হলে মাস্টারমশাই! নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তিগত লোন নিয়ে স্কুল বিল্ডিং বানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

Last Updated:

Purba Medinipur News: স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এহেন ভূমিকায় উৎফুল্ল এলাকাবাসী সহ ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাও।

+
বহলিয়া

বহলিয়া জুনিয়র হাই স্কুল

এগরা: বেহাল দশা স্কুল বিল্ডিংয়ের। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে অসুবিধা। বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য বারবার দরবার করলেও মেলেনি কোনও রকম সাহায্য। আর তার পরেই এগিয়ে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ব্যক্তিগত লোন নিয়ে স্কুল বিল্ডিং তৈরি করছেন সেই প্রধান শিক্ষক। প্রতিমাসে নিজের বেতন থেকেই লোনের অঙ্ক মেটাচ্ছেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের বেতনের টাকায় তৈরি হচ্ছে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ। স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এহেন ভূমিকায় উৎফুল্ল এলাকাবাসী সহ ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাও।
এগরা ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার বহলিয়া, বরিশা, জুকি, মুণ্ডমারাই ও বলিহারপুর সহ ছয়টি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা বহলিয়া জুনিয়র হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পঠনপাঠনের জন্য শ্রেণীকক্ষের অভাবে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পুরনো দুটি ক্লাসরুম সহ বারান্দায় পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন থাকলেও পাশাপাশি আর কোনও বিদ্যালয় না থাকায় অন্য বিদ্যালয়ের সহযোগে নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে এই বিদ্যালয়েই।
advertisement
advertisement
ফলে এলাকাবাসীর কাছে এই বিদ্যালয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। স্কুলের সমস্যার কথা জানিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে বিডিও সংশ্লিষ্ট দফতরে বারে বারে আবেদন সহযোগে দরবার করেছেন প্রধান শিক্ষক মিন্টু সরকার ও সহশিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। শেষমেশ প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে নিজে ৭ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত লোন করে দোতলায় একটি ক্লাস রুম তৈরি করেছেন। সেই লোনের টাকা প্রতি মাসে নিজের বেতন থেকে পরিশোধ করছেন তিনি। এখন শ্রেণিকক্ষ বেড়ে তিনটি হলেও তাতেও সমস্যা অবশ্য মেটেনি। ক্লাস করতে হচ্ছে বারান্দায় চাটাই পেতে। তার উপর আবার বাড়তি সমস্যা দেখা দিয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের টয়লেট ভেঙে যাওয়ার কারণে। ইদানীং সেই সমস্যাটিও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
advertisement
ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে স্থায়ী শিক্ষক তিন জন। ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য গ্রামের বেকার শিক্ষিত তিন যুবক ও একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে অস্থায়ী পার্শ্ব-শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরাও প্রধান শিক্ষকের আহ্বানে এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের কিছু সাম্মানিক অর্থ, প্রধান শিক্ষক নিজের বেতন থেকেই দেন। নিজের প্রয়োজনের কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে এমন উদারতার সঙ্গে রাতদিন এক করে কাজ করে চলেছেন প্রধান শিক্ষক মিন্টু সরকার। ভবিষ্যতেও সাহায্য না পেলে নিজের মতো করেই তিনি স্কুলের কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন মন্টুবাবু। এমন আদর্শ শিক্ষককে পেয়ে গ্রামবাসী থেকে অভিভাবকরা – সকলেই তাঁকে স্যালুট জানাচ্ছেন।
advertisement
—- সৈকত শী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Purba Medinipur News: এই না হলে মাস্টারমশাই! নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তিগত লোন নিয়ে স্কুল বিল্ডিং বানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement