মেয়েরা বড় হোক, স্বপ্ন দেখেন অভাবী-উপবাসে থাকা জাবিয়া-আসমারা

Last Updated:
#মিনাখাঁ: ‘টাকা পয়সা নেই ৷ মাস গেলে কোনওরকমে টেনেটুনে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা রোজগার হয় ৷ তাও কোনও কোনও মাসে হয়তো আরও কম ৷ মাসের শেষের দিনগুলোতে বাচ্চাদের মুখে খাবার জোটাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে নিজেরাই খেতে পাই না জানো ?’ কথাগুলো বলতে বলতেই চোখের কোনটা ভিজে উঠছিল জাবিয়া-ছাইমা-আসমাদের ৷ আর কথা বলতে পারলেন না তারা....
কেমন আছেন গ্রাম বাংলার মানুষ ? সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে সেই খোঁজ করতেই পৌঁছে গিয়েছিলাম বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মিনাখাঁর টাপলা কুশাংরা গ্রামে ৷ সেখানেই আলাপ হয় জাবিয়া, ছাইমা এবং আসমাদের সঙ্গে ৷ ঘরে ঢুকতেই প্রশ্ন ভেসে এল ! ‘শহর থেকে এইছেন ?’ চোখে মুখে যেন এক অবাক চাহনি ! উত্তর হ্যাঁ হতেই তিন বউ সাদরে আপ্যায়ন জানাল আমাদের ৷ ক্যামেরা-ট্রাইপড-বুম-লাইট-ফোন এসব দেখে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মুখে বিস্ময় যেন আর কাটতেই চাইছে না ৷ কথায় কথায় জানতে পারলাম জাবিয়া, ছাইমা, আসমা এরা একই পরিবারের তিন বউ, বড়-মেজ-ছোট ৷ স্বামী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভরা সংসার ৷
advertisement
একটাই বাড়ি ৷ পাশাপাশি টালির ছাউনি দেওয়া তিনটে ঘর ৷ সেখানেই কোনওমতে থাকেন তিন ভাই ৷ কথায় কথায় জানতে পারলাম, বাড়ির বড় ছেলে রাস্তায় রাস্তায় হকারি করেন ৷ আর মেজ ছেলে বাড়ির সামনেই একটি মুদি দোকানে চাল-ডাল আর টুকটাক আনাজপাতি বিক্রি করেন ৷ সব মিলিয়ে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা রোজগার ৷ আর ছোট ছেলে ? সবার মুখেই আমতা আমতা ৷ বুঝলাম, তেমন কিছুই কাজ সে এখনও জোটাতে পারেনি ৷ তাহলে সংসার চলে কীভাবে ? প্রশ্ন করতেই জানা গেল, বাড়ির ছেলে মেয়েরাই কখনও শাড়ি, লেহেঙ্গা তৈরি করে কিংবা বাড়ি বাড়ি ইলেকট্রিকের কাজ করেই মাসের শেষে একটা মোটা টাকা তারা মা-বাবার হাতে তুলে দেয় ৷ সেই টাকাতেই চলে সংসার ৷
advertisement
advertisement
অন্যদিকে, সরকারি সুযোগ সুবিধে না মেলায় ৷ তাদের মনেও ক্ষোভ বাড়ছে ৷ তাঁদের দাবি, ‘সরকারি সুবিধে কিছুই পাইনা দিদি ৷ না পাই ২ টাকা কিলো দরে চাল ৷ কোনও খাদ্যসুরক্ষার কার্ডও পাইনি ৷ এ দোর ও দোর ঘুরেছি ৷ ফর্ম ফিল আপও করেছি ৷ কিন্তু পাই না কার্ড ৷ কেউ বলেই না কীভাবে পাব এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা ৷ ঘর বাড়িও তৈরি করতে পারলাম না ৷’
advertisement
তবে, এই অভাব-অনটনের মধ্যেও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন তাঁরা ৷ অভাবের মধ্যে পড়েও মেয়েদের বিয়ে দিতে রাজি নন তাঁরা ৷ তাঁদের ইচ্ছে, মেয়ে শহরের কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করুক ৷ এরপর বড় কলেজের অধ্যাপক হোক ৷ অনেক বড় হোক তারা ৷ কিন্তু কীভাবে এই স্বপ্ন পূরণ হবে ? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই এঁদের কাছে ৷ শহরের কলেজে পড়াতে অনেক খরচ ৷ সেটা জানেন আসমারা ৷ কিন্তু স্বপ্ন দেখতে ভোলেন না ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মেয়েরা বড় হোক, স্বপ্ন দেখেন অভাবী-উপবাসে থাকা জাবিয়া-আসমারা
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement