#বারাসত : বিকাল ৫টা।অলিগলি থেকে রাজপথ সব জায়গা থেকে উচ্চ গ্রামে শাঁখ, ঘন্টা, কাঁসির আওয়াজে মেত উঠল শহর।কোন পুজোর সন্ধ্যায় তিথি নক্ষত্র মেনে এমন ভাবে শাঁখ, ঘন্টা, কাঁসি বাজে না।বারাসাত শহর কালীপূজার জন্য বিখ্যাত।সেই শহরের অনেক কালী পূজা উদ্যোগতার দাবি এমন জিনিস তারা কস্মিনকালেও দেখেনি।পাইওনিয়র অ্যাথেলিটক ক্লাবের কর্মকর্তা অজয় ঘোষের মতে দেশের প্রধানমন্ত্রী ডাকে রাজ্যের মানুষের এমন সাড়া শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার মানুষকে আরও মনোবল বাড়াবে।
এদিন সকাল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর থেকে সীমান্ত শহর কিংবা বারাকপুর শিল্পাঞ্চল সর্বত্র ই জনতা কার্ফুর। ব্যাপক সাড়ার পাশাপাশি বারাসাতে বেশ কিছু মাংসের দোকান ছিল খোলা। রবিবাসরীয় সকালে মাংস আর কাগজ কিনতে হুজুগে মানুষের রাস্থায় বেড় হয়।বারাসত স্টেশন থেকে বাস স্টান্ড সর্বত্র খাঁখাঁ আবস্থা। রাস্তা নেই ট্রাফিক। প্রয়োজন পড়ছে না ট্রাফিক পুলিশের।ইতিউতি দু একটা টোটো আর সরকারি বাস রয়েছে রাস্তায়।জনতা কার্ফু জেরে পাড়ার মোড়ে রবিবারে চেনা আড্ডা টাও, আজ আর নেই।তবে কাগজ আর বাজারের জন্য কেউ কেউ রাস্তায় বেড়িয়েছে।জরুরি কাজের জন্য কিছু মানুষকে রাস্তা বেড়িয়েছেন।তবে অফিসের নির্দেশ আর নিজেদের টার্গেট মেলাতে এই দিন রাস্তায় রয়েছে অন লাইন ফুড ডেলিভারি বয়রা।বারাসাত চাঁপাডালি মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টের অর্ধেক ঝাঁপ খোলা রয়েছে। মোমোর এই দোকানে ওর্ডার বেশী থাকায় ডেলিভারি বয়রা সেখানেই জড়ো হয়েছে।রঞ্জন রায় নামে অন লাইন ডেলিভারি বয়ের দাবী কোম্পানি কোন ছুটি দেয়নি। তার মধ্যে টার্গেট ও পূরন হয়নি।
ফলে ঝুকির এই সময় তারা বাধ্য হয়েই রাস্তা।শচীন মন্ডল আর এক জনপ্রিয় বেসরকারি সংস্থার ডেলিভারি বয় এর দাবী শহরের অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট বন্ধ। রাস্তার দিক কান খাড়া করে বলেন আপনি মানে সাংবাদিক, ঐ পুলিশ কর্মী, ঐ যে আওয়াজ করে অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে সবাই জরুরী পরিষেবাতে পড়ে।কিন্তু আমরা কি জরুরি পরিষেবার মধ্য পড়ি।স্বগতোক্তির তার। তবুও পেটের টানে রাস্তা বার হতে হয়েছে তাদের।
RAJARSHI Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Janta Curfew, Thanksgiving, করোনা ভাইরাস, জনতা কারফিউ, ধন্যবাদ জ্ঞাপন