#আসানসোল,পশ্চিম বর্ধমান: রেল এবং রেলযাত্রীদের নিরাপত্তার অনেকাংশ নির্ভর করে তাদের ওপর। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য লাগাতার ডিউটি পালন করে যায় তারা। সময়ে সময়ে চলে প্রশিক্ষণ। রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের এই স্পেশাল সদস্যরা নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য বিখ্যাত। নিজেদের কর্তব্য সর্বদা অবিচল থাকে তারা। এই ছয় সদস্যের মধ্যে কেউ তল্লাশি চালানোর কাজে এক্সপার্ট। কেউ আবার দক্ষ মাদক দ্রব্য খুঁজে বার করতে। রেলের এই সমস্ত দক্ষ নিরাপত্তারক্ষীরা এক-একজন স্পেশালিস্ট সারমেয়, যাদের ভিন দেশ এবং ভিন রাজ্য থেকে আনা হয়েছে। আপাতত তাদের ঠিকানা আসানসোলের আরপিএফ ডগ স্কোয়াড। আরপিএফ ডগ স্কোয়াডের আধিকারিকরা এই ছয় সদস্যের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন। এই তীব্র গরমে মানুষ যেমন কাজ করতে বেরিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন, তেমনভাবে নিজেদের কাজ করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রেলের এই ছয় সদস্যকে।
গরমে কিছুটা বিরক্ত করছে এই সমস্ত স্পেশাল নিরাপত্তা কর্মীদের। তার জন্যই আসানসোল ডিভিশনে ডগ স্কোয়াডের তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সারমেয় নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য। আসানসোল ডিভিশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এই সদস্যদের নাম যাবা, ম্যাক্স, তুফান। তাদের গরমের হাত থেকে রেহাই দিতে বিশেষ রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে ডগ স্কোয়াডে। যে জায়গায় সারমেয়গুলিকে রাখা হচ্ছে, সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের। এই ছয় সদস্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ছ'টি আলাদা আলাদা এয়ারকুলার।
এই গরমের সময় তারা যাতে সুস্থ থাকে, তার জন্য ডগ স্কোয়াডের আধিকারিকরা সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ তো চালিয়ে যাচ্ছেনই, পাআশাপাশি সারমেয়দের রাখা হচ্ছে কুলারের নিচে! তাছাড়াও একটানা কাজ করানোর ক্ষেত্রে কিছুটা রেহাই দেওয়া হচ্ছে এই স্পেশাল নিরাপত্তা কর্মীদের। প্রতি ৩০ মিনিট কাজ করানোর পর তাদের বেশ কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও এই গরমে যাতে হজমজনিত কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য ডায়েটের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিদিনের মেনুতে ননভেজ খাবারের পরিমাণ কমানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে আসানসোল আরপিএফ বিভাগের ডিএসপি চন্দ্রমোহন মিশ্র জানিয়েছেন, ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের এই গরমের সময় বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তারা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তার জন্য ডগ স্কোয়াডের আধিকারিকরা নানা রকম ব্যবস্থা করেছেন। গরম থেকে রেহাই দিতে তাদের এয়ারকুলারের নিচে রাখা হচ্ছে, খাবারের মেনুতে পরিবর্তন আনা হয়েছে, পাশাপাশি একটানা কাজ করানোর ক্ষেত্রে নিয়ম বদল করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাদের বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে ডিভিশনের লক্ষ্য, যাতে এই সমস্ত সারমেয়গুলিকে সুস্থ রাখা যায়। কারণ তারা সুস্থ থাকলে, আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশনের নিরাপত্তার দিকটিও অনেকখানি সুনিশ্চিত থাকবে।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paschim burdwan