Bangla News: মকরসংক্রান্তিতে মহাপুজো, খালি হাতে ফেরে না কেউ! দেবী গুপ্তমণির মন্দিরের ঠিকানা জানুন

Last Updated:

Bangla News: দেবীর কাছে যা মানত করা হয় তা পাওয়া যায়, প্রতিদিন ভিড় বাড়ে এই মন্দিরে। ভক্তদের বিশ্বাস, ইনি হলেন রক্ষার দেবী।

+
title=

ঝাড়গ্রাম: মন্দিরের মধ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার। জ্বলছে কয়েকটি ধূপ আর বেশ কয়েকটি মোমবাতি। বহু ভক্ত ভিড় জমিয়েছে সেখানে। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে পূজিতা হন দেবী। মনস্কামনা পূরণের আশায় দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। বিশ্বাস, মন্দিরে যা মানত করা হয়, তিনি সুফল পান।
খড়গপুর থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই মা গুপ্তমণির মন্দির। অনেক বিশ্বাস নিয়ে বহু দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। মনের ইচ্ছে জানিয়ে মানত করেন তারা, পেয়েছেন সুফলও। এভাবেই ব্যাপ্তি ঘটে দেবীর। শনি, মঙ্গলবার এমনকি বছরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট দিনে বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদের বিরাট এই বাগান বাড়ি ঘুরেছেন? না দেখলে বড় মিস…! শীতের ছুটি কাটিয়ে আসুন
কলকাতা থেকে মুম্বইগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মা গুপ্তমনির মন্দির। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার আর খড়গপুর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার। জাতীয় সড়কের পাশে অতি সাধারণ এই মন্দির। মনস্কামনা জানিয়ে, ভক্তরা এখানে মাটির হাতি ঘোড়া পুজো দিয়ে বেঁধে যান। পূরণ হয় মনের আশা। অনেকেই নতুন কেনা গাড়ি বা বাইক নিয়ে এখানে পুজো দিতে আসেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মা গুপ্তমনি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী গুপ্তমণি হলেন রক্ষার দেবী। তিনি তুষ্ট থাকলে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
advertisement
advertisement
দেবী গুপ্তমনিকে নিয়ে মত প্রচলিত থাকলেও জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকশো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দির। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের সদস্যরাই পুজো করেন দেবী গুপ্তমণিকে। দেবী দুর্গা রূপেই পূজিতা হন মা গুপ্তমণি। আজও এই মন্দির সন্ধ্যার পর নিমজ্জিত হয় গাড় অন্ধকারে। কোনও আলো জ্বালানো হয় না, এমনকি প্রদীপও। এই মন্দির ব্রাহ্মণ্যবাদের বাইরে গিয়ে লোধাদের হাতেই পূজিতা হন দেবী।
advertisement
প্রাচীন রীতি মেনে গুপ্তমণি মায়ের পুজো করেন লোধা সম্প্রদায়ের মানুষ। দুর্গাপুজো ও মকর সংক্রান্তির সময় হয় বড় পুজো। তবে এই দুই বিশেষ অনুষ্ঠানের সময় প্রচুর লোকসমাগম হয়। অন্যান্য জেলা থেকেও প্রচুর ভক্ত আসেন গুপ্তমণি মন্দিরে পুজো দিতে। ঝাড়গ্রাম কিংবা পশ্চিম মেদিনীপুর নয় ভিন রাজ্য থেকে বহু মানুষ আসেন পুজো দিতে। যাদের মনস্কামনা পূরণ হয়েছে তারা একবারের জন্য গাড়ি থামিয়ে এখানে পুজো দিয়ে যান।
advertisement
ভক্তদের বিশ্বাস, কোনও হারানো জিনিস ফিরে পেতে গুপ্তমণি দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে, তা সহজেই ফিরে পাওয়া যায়। তবে, সেই হারানো জিনিস ফিরে পেতে মন্দির প্রাঙ্গণের গাছে বাঁধতে হয় মাটির হাতি ও ঘোড়া। দেবী গুপ্তমণির অবয়ব অবিকল দেবী দুর্গার মত। মকর সংক্রান্তি এবং দুর্গাপুজোর সময় এখানে বেশ বড় আকারে পুজো হয়। জাতীয় সড়কের পাশে সবুজ গেছে ঘেরা এই মন্দির, বিশ্বাস থাকলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন এই মন্দির থেকে ।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla News: মকরসংক্রান্তিতে মহাপুজো, খালি হাতে ফেরে না কেউ! দেবী গুপ্তমণির মন্দিরের ঠিকানা জানুন
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
  • দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে

  • আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে ?

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement