South 24 Parganas News: শুধু পানীয় জল নয়, দৈনন্দিন কাজ কর্মের জন্য জল কিনতে হচ্ছে বারুইপুরে!

Last Updated:

পাইপলাইনে জল আসে না। জলস্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপেও জল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে খাওয়ার জন্য তো বটেই, দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য জল কিনতে হচ্ছে। এমনই পরিস্থিতি বারুইপুরের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায়।

+
পানীয়

পানীয় জলের সমস্যা

বারুইপুর: পাইপলাইনে জল আসে না। জলস্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপেও জল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে খাওয়ার জন্য তো বটেই, দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য জল কিনতে হচ্ছে। এমনই পরিস্থিতি বারুইপুরের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায়।
বারুইপুরের মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের বহু এলাকাতেই জল কেনা ছাড়া উপায় নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের। উত্তরায়ণ, সুমন বেকারি লেন এলাকার বাসিন্দারা জানান, গরম বাড়তেই জলসঙ্কট তীব্র হয়েছে। মল্লিকপুর স্টেশন সংলগ্ন এইসব এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগে। কিন্তু অভিযোগ, বর্তমানে অনেক জায়গাতেই জল আসে না। কোথাও কোথাও খুব কম জল মেলে। তাতে প্রয়োজন মেটে না। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক বাড়িতেই নলকূপ রয়েছে। কিন্তু জলস্তর নেমে যাওয়ায় ১০০-২০০ ফুটের সেই নলকূপ থেকেও জল উঠছে না।
advertisement
advertisement
পুরসভা ঘেঁষা এই সব এলাকায় গত কয়েকবছরে জনবসতি বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। জার জেরে জলসঙ্কট আরও বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাসিন্দারা জানান, এলাকায় পঞ্চায়েতের বসানো গভীর নলকূপ রয়েছে। কিন্তু একটা নলকূপের উপর আশেপাশের কয়েকশো পরিবার নির্ভরশীল। ফলে জল নিতে মারমারি-ধাক্কাধাক্কি বেধে যায় প্রায়ই। জলের জন্য প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
advertisement
সুমন বেকারি লেনের বাসিন্দা আনন্দকুমার সাহা বলেন, “জলের সমস্যায় আমরা জেরবার। এই এলাকায় হু হু করে লোক বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে জলের সমস্যা। পানীয় বা নিত্য ব্যবহারের জন্য কার্যত কোনও জলের ব্যবস্থাই নেই। সবটাই কেনা জলের উপর নির্ভরশীল।” শ্যামলী দে বলেন, “পাইপলাইনে জল কোনওদিন আসে, কোনওদিন আসে না। এলেও এত সরু হয়ে পড়ে, কোনও কাজ হয় না। সেখানে জলদিনে ৭০-৮০ টাকার জল কিনতে হয়। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি।”
advertisement
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বাড়িতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাব মার্সিবেল পাম্প বসিয়ে জল তোলার চেষ্টা করছেন। তাতে সাময়িক কাজ হলেও, ভূগর্ভস্থ জলস্তরের বড় ক্ষতি হচ্ছে বলেই আশঙ্কা এলাকার মানুষের। এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কটের কথা মেনে নেন মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হবিবুর রহমান বৈদ্য। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ জায়গাতেই জলের সমস্যা রয়েছে। গভীর নলকূপ বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও ট্যাঙ্কে জল ভরে এলাকায় পাঠানো যায় কিনা সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলছি।” প্রধান জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে বাড়ি-বাড়ি নতুন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
advertisement
সুমন সাহা
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
South 24 Parganas News: শুধু পানীয় জল নয়, দৈনন্দিন কাজ কর্মের জন্য জল কিনতে হচ্ছে বারুইপুরে!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement