North 24 Parganas News: ছেলের কাছে ফেরার দরজা বন্ধ! বৃদ্ধাশ্রমের মালকিন চালাত নির্যাতন, দিত অজানা ওষুধও, যা করলেন বৃদ্ধা..., শুনলে আঁতকে উঠবেন

Last Updated:

North 24 Parganas News: পরিচারিকার কাজ করতে অস্বীকার করায় মারধর-সহ প্রাণে মারারও হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে বৃদ্ধাকে। দেওয়া হত অজানা ওষুধও। ছেলের কাছে ফেরার উপায় নেই, সে দরজাও বন্ধ।

+
News18

News18

উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাঁই মেলেনি ছেলের সংসারে, বৃদ্ধাশ্রমে এসেও পড়েছেন বিপদে। এ যেন নচিকেতার গানের বৃদ্ধাশ্রম এর কষ্টের জীবনকেই মনে করাচ্ছে। ষাটোর্ধ্ব শর্মিষ্ঠা মুস্তাফির ঠিকানাও ছিল বৃদ্ধাশ্রম। উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে ছিল বাড়ি। সেখানে ছেলে–বৌমার সংসারে জায়গা হয়নি তাঁর। স্বামীর মৃত্যুর পরে একমাত্র ছেলে বৃদ্ধা মাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়ার একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বৃদ্ধাশ্রমও যেন একসময়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। অভিযোগ, সেখানে কার্যত পরিচারিকার মতো সমস্ত কাজ করানো হত শর্মিষ্ঠা দেবীকে দিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, ওই বৃদ্ধাশ্রম, মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়ার নিবেদিতা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মালকিন নীপা রায় সরকারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানান বৃদ্ধা শর্মিষ্ঠা দেবী। নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েও কাজ করাচ্ছিলেন তাকে দিয়ে।  পরিচারিকার কাজ করতে অস্বীকার করায় মারধর-সহ প্রাণে মারারও হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে বৃদ্ধাকে। দেওয়া হত অজানা ওষুধও। ছেলের কাছে ফেরার উপায় নেই, সে দরজাও বন্ধ।
advertisement
advertisement
দিন কয়েক আগে বৃদ্ধাশ্রম থেকে পালিয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। নীপার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বৃদ্ধাশ্রম মালিক নীপা। শর্মিষ্ঠা দেবীর শ্বশুরবাড়ি দার্জিলিংয়ে। স্বামী অশেষ মুস্তাফি সেখানে হোটেলের ব্যবসা করতেন। কয়েক বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পরে পাকাপাকিভাবে কলকাতার বাড়িতেই চলে এসেছিলেন শর্মিষ্ঠা। একমাত্র ছেলের কাছেই থাকছিলেন। ২০২১ এ বাড়ি ছাড়তে হয় তাঁকে। মাসিক ৬ হাজার টাকায় বৃদ্ধা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন একমাত্র ছেলে। একবছর ধরে প্রতি মাসে বৃদ্ধাশ্রমে টাকা পাঠালেও, পরের বছরে শর্মিষ্ঠা দেবীর ছেলে এককালীন ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন বৃদ্ধাশ্রমে। জানিয়ে আসেন, আমৃত্যু মায়ের থাকা খাওয়া ওষুধ ও চিকিৎসার জন্য এই টাকা দিয়ে গেলেন। আর কোনও টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
advertisement
শর্মিষ্ঠা মোস্তাফির অভিযোগ, ওই টাকা পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে দিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে রান্না থেকে বাসন মাজা-সহ সমস্ত কাজ করাতে শুরু করেন নীপা। এমনকী নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েও শর্মিষ্ঠাকে দিয়ে কাজ করাতেন বলে অভিযোগ। এই মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে, পালিয়ে আসেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই এখন মুখ্যমন্ত্রী, জেলা পুলিশ-সহ মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ বৃদ্ধা।
advertisement
Rudra Narayan Roy
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
North 24 Parganas News: ছেলের কাছে ফেরার দরজা বন্ধ! বৃদ্ধাশ্রমের মালকিন চালাত নির্যাতন, দিত অজানা ওষুধও, যা করলেন বৃদ্ধা..., শুনলে আঁতকে উঠবেন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement