Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: মন্দিরে গেলেই পুরোহিতরা আপাতত হাতে তুলে দেবেন না দেবীর স্নানজল। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির কর্তৃপক্ষ। করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই পরিকল্পনা বলে মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে সকাল থেকেই ভক্তদের পুজো দেওয়ার পালা শুরু হয়ে যায়। মূল মন্দিরের সামনে পৌঁছালে হাতে মায়ের স্নান জল দেওয়া রীতি এই মন্দিরে। করোনা আবহে সেই প্রথা থেকে পুরোহিতদের বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সর্বমঙ্গলা মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, দর্শনার্থীরা মন্দিরের কাছাকাছি পৌঁছালে পুজোর আগে বা পরে তাঁদের হাতে পুরোহিতরা স্নান জল তুলে দেন। কিন্তু তা থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভক্তরা যাতে পুরোহিতদের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভক্তরা গেলে তাঁদের হাতে স্নান জল বা পুষ্প তুলে না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুরোহিতদের। এতে সংক্রমণ আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধুমাত্র যাঁরা নিজেদের আগ্রহে স্নানজল নিতে চাইবেন শুধুমাত্র তাঁদেরই তা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি জায়গায় স্নান জল রেখে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। সেখান থেকে ভক্তরা নিজেরাই তা সংগ্রহ করতে পারবেন এমনটাই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সকলের হাতের ছোঁয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই বড় লাঠির মাথায় চামচ বেঁধে দূর থেকে স্নান জল দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এমনিতেই মুখে মাস্ক না বেঁধে মন্দিরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্যানিটাইজার টানেলের মধ্য দিয়ে সকলকে মন্দিরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে সকলে পূজা দেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তেমনই মন্দিরে একসঙ্গে যাতে অনেকে ভিড় করতে না পারেন তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের। সংক্রমণ ঠেকাতে মন্দিরে একসঙ্গে দর্শনার্থীদের বসিয়ে ভোগ পরিবেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র মালসায় ভোগ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Sarbamangala temple