গ্রামীণ হাওড়ায় বহু মহিলার স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার পয়সা নেই, পাশে দাঁড়াল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

Last Updated:

এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে আধপেটা অবস্থায় যখন দিন কাটছে মানুষজনের তখন এক ভয়ানক সমস্যার মুখে মহিলারা , অন্য জোটাতে হিমশিম খাওয়া সংসারের মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গিয়ে থমকে দাঁড়াচ্ছেন৷

দীর্ঘ লকডাউনের করাল থাবায় ইতিমধ্যেই ভাঁড়ার শূন্য হয়েছে গ্রাম বাংলার বহু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের। লকডাউনের জেরে একমুঠো অন্ন সংস্থান করতেই নাজেহাল অবস্থা এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির। অমিল ওষুধ ও অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী৷
এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে আধপেটা অবস্থায় যখন দিন কাটছে মানুষজনের তখন এক ভয়ানক সমস্যার মুখে মহিলারা , অন্য জোটাতে হিমশিম খাওয়া সংসারের মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গিয়ে থমকে দাঁড়াচ্ছেন৷ যেটুকু জমানো অর্থ দিয়ে কোনো রকমে পেট চালিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ভাবনাই মাথায় আসে না। আবার কারও কেনার সাধ্য থাকলেও ওষুধের দোকানের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ন্যাপকিন কেনার উপায় নেই।
advertisement
এরকমই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে গ্রামীণ হাওড়ার কয়েকশো মহিলার হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করল আমতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সদস্যদের দাবি, ইতিমধ্যেই  আমরা বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য সামগ্রী  সরবরাহ  করতে গিয়ে আমরা কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে, কোনও কোনও মহিলারা সাহস করে আমাদের কাছে তাদের সমস্যার কথা জানায়, তার পর আমরা ঠিক করি, খাদ্য সামগ্রী তো অনেকেই দিচ্ছেন আমরা না হয় মহিলাদের পশে এই বিশেষ সমস্যার পশে দাড়াই, সেই থেকেই আমাদের ভাবনা৷ আর ভাবনা থেকে  শুরু প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন, উলুবেড়িয়া -২ এর অভিরামপুর খালপাড় সংলগ্ন ৩০ টি প্রান্তিক পরিবারের প্রায় ৪৫ জন মহিলার হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হয় , পাশাপাশি,আগামী বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই বিভিন্ন ব্লকের কয়েকশো মহিলার কাছে এই বিশেষ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।
advertisement
advertisement
বেশ কিছু মহিলাদের দাবি "পিরিয়ডের সময় আমরা আগে কাপড় ব্যবহার করতাম। কিন্তু,আশা দিদিরা নিয়মিত বাড়িতে এসে আমাদের সচেতন করার ফলে আমরা ন্যাপকিন ব্যবহার করা শুরু।কিন্তু,যখন একমুঠো ভাত জোটেতে হিমশিম খাচ্ছি সেখানে কীভাবে টাকা খরচ করে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনবো ? তাই আবার সেই আগের দিনের মতো করেই চিন্তা ভাবনা শুরু করি৷
advertisement
সংগঠনের সদস্য  অরুণ খাঁ জানান, "স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার আমরা চালাই।কিন্তু,এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যখন একমুঠো ভাতের জন্য লড়াই চলছে,তখম ন্যাপকিন কেনা এই সমস্ত মহিলাদের পক্ষে সম্ভব নয়।তাই অনেকেই পিরিয়ডের সময় পুরানো কাপড় ব্যবহার করছেন যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।তাই আমাদের পক্ষ থেকে গ্রামীণ হাওড়ার কয়েকশো প্রান্তিক মহিলার কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ন্যাপকিন পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।"
advertisement
ন্যাপকিনের সঙ্গে সঙ্গে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাল,ডাল,আলু,তেল,সোয়াবিন,ডিমের মতো বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিখানা সামগ্রী। লক ডাউন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে সরকার , তাই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরও বেশি করে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি |
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গ্রামীণ হাওড়ায় বহু মহিলার স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার পয়সা নেই, পাশে দাঁড়াল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement