বালির বস্তায় কিছু হবে না, গঙ্গা ভাঙন রোধে স্থায়ী সুরাহা চায় মুর্শিদাবাদ

Last Updated:

ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিতলা, রানিনগর এবং জলঙ্গির মতো বিস্তীর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের অধিকাংশই হয় কৃষিজীবী না হয় মৎস্যজীবী। এ ছাড়া বাড়ির মহিলারাদের বিড়ি বাঁধাই৷ হাজার বিড়ি পিছু পারিশ্রমিক ১৫২ টাকা৷

#বহরমপুর: সুবিশাল নদী৷ ও প্রান্ত অস্পষ্ট৷ তাকে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে বালির বস্তা দিয়ে৷ এ যেন 'দৈত্য রুখতে তালপাতার সেপাই'৷ ফল যা হওয়ার তাই৷ গঙ্গার গ্রাস চলছে৷ আর আশপাশের গ্রামগুলি ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে৷ বাসিন্দারা প্রতি বছর নতুন আশ্রয় খোঁজে৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এসে গেল৷ এরপর বিধানসভাও আসবে৷ মুর্শিদাবাদে গঙ্গার ভাঙন সমস্যা 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
বহরমপুর থেকে ঘণ্টা আড়াইয়ের রাস্তা ধুলিয়ান৷ ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিতলা, রানিনগর এবং জলঙ্গির মতো বিস্তীর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের অধিকাংশই হয় কৃষিজীবী না হয় মৎস্যজীবী। এ ছাড়া বাড়ির মহিলারাদের বিড়ি বাঁধাই৷ হাজার বিড়ি পিছু পারিশ্রমিক ১৫২ টাকা৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিতে গঙ্গা ও পদ্মা, দুজনেই চোখ রাঙায়৷ বর্ষা তো বটেই৷ বছরের অন্যান্য সময়েও৷
advertisement
ধুলিয়ানের বাসিন্দা শেখ মহম্মদ মোমিনের কথায়, 'গঙ্গায় মাছ ধরি৷ বউ মেয়ে বিড়ি বাঁধাইয়ের কাজ করে৷ ছেলে-মেয়েদের ইস্কুলে পাটানোর টাকা নেই৷ কোনও রকমে সংসার চলে৷ ৩ বার বাসা বদলেছি৷ গঙ্গা সব খেইয়ে ল্যায়৷ জকুন-তকুন৷'
advertisement
ছবিটি তুলেছেন সিদ্ধার্থ সরকার ছবিটি তুলেছেন সিদ্ধার্থ সরকার
ধুলিয়ানে টোটো চালক রুবেল৷ বছর ২৮ বয়স৷ গঙ্গা লাগোয়া গ্রামেই বাড়ি৷ সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূরে নয়৷ 'অধীরদাদা' কেন, কাউকেই আর বিশ্বাস করেন না৷ ভোট দিচ্ছেন এ বছর? সটান বলে দিলেন, 'না৷ দেব না৷ আমাদের গ্রামে একবারটি চলুন৷ বুঝবেন৷ ১৯৯৮ সালে শেষবার গঙ্গা ভাঙন রুখতে কাজ করা হয়েছিল৷ তারপর থেকে আর কিছু হয়নি৷ যে হারে ভাঙন চলছে, ঘরবাড়ি গেলে তো পথে বসব৷ ৯০ হাজার টাকা লোন নিয়ে এই টোটো কিনেছি৷ লোন চোকাবো না বাড়ি তৈরি করব?'
advertisement
আর কয়েক মাস পরেই বর্ষা৷ মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি৷ সমাজকর্মী মেধা পাটেকর একাধিক বার ফারাক্কায় গিয়ে গঙ্গা ভাঙনে গৃহহীনদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন৷ সমাজকর্মীরা আসেন৷ রাজনীতিবিদরা আসেন৷ ভোট আসে৷ গঙ্গা ভাঙন নিজের গতিতেই চলছে৷
পেশায় মত্‍‌স্যজীবী শরিফুল শেখ বেশ রসিক মানুষ৷ রোগা, অথচ পেটানো চেহারার শরিফুল হাসতে হাসতে বলেন, 'আমাদের মাঝিদের একটা গান আছে৷ গঙ্গার ভাঙন নিয়ে৷' কী গান? 'নদীরে ও নদীরে, তুই একটু দয়া কর৷' হেসে উঠলেন বৃদ্ধ৷
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বালির বস্তায় কিছু হবে না, গঙ্গা ভাঙন রোধে স্থায়ী সুরাহা চায় মুর্শিদাবাদ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement