Murshidabad Tourism: ধ্বংসের মুখে অমূল্য ইতিহাস! লালগোলা রাজবাড়ি ও অতিথিশালা পর্যটনকেন্দ্র না হয়ে অবলুপ্তির পথে

Last Updated:

Murshidabad Tourism: বর্তমানে এই লালগোলা রাজবাড়ি ধ্বংসের পথে। পাশাপাশি, গেস্ট হাউসও ধ্বংসের পথে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরকারিভাবে কেউ এগিয়ে না আসার কারণেই ইতিহাস আজ বিলুপ্তের পথে।

+
লালগোলা

লালগোলা রাজবাড়ি 

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি রাজবাড়ি বিখ্যাত বাংলার সংস্কৃতি ও শিক্ষায়। কাশিমবাজার, লালগোলা ও নিমতিতা রাজবাড়ি। বর্তমানে এই লালগোলা রাজবাড়ি ধ্বংসের পথে। পাশাপাশি, গেস্ট হাউসও ধ্বংসের পথে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরকারিভাবে কেউ এগিয়ে না আসার কারণেই ইতিহাস আজ বিলুপ্তের পথে।
যোগেন্দ্রনারায়ণ রায়ের স্মৃতি বিজরিত অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে এই লালগোলা রাজবাড়ি। লালগোলা রাজবাড়ি বর্তমানে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। যার কারণে ইতিহাসকে সংরক্ষণ করার দাবি করেছেন সকলেই। পদ্মারচর, মুক্তকারাগার, কলকলি নদী, ‘হাজারদুয়ারি’ নামে লালগোলার রাজবাড়ির অতিথিশালা ও বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত শৃঙ্খলিত কালীমূর্তি নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রের প্রস্তাব এখনও বিশ বাঁও জলের তলায়। লালগোলা রাজবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে পর্যটকদের ভিড় হবে বলে আশা।
advertisement
কথিত, কলেজ গড়ার জন্য লালগোলার প্রয়াত মহারাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায়ের উত্তরপুরুষের কাছ থেকে আট লক্ষ টাকায় রাজপ্রাসাদ, অতিথিশালা, কালীমন্দির, নাটমন্দির, আধ কিলোমিটার দীর্ঘ কলকলি ও শ’ খানেক বিঘা জুড়ে বিশাল আমবাগান কিনে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে জমির পরিমাণ প্রায় ৩০০ বিঘা। সেখানে অবশ্য কলেজ গড়ে ওঠেনি। ১৯৮৭ সালে ৩১ জানুয়ারি সেই রাজপ্রাসাদে গড়ে ওঠে সাজাপ্রাপ্তদের জন্য মুক্ত-সংশোধনাগার।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : জন্মাষ্টমীর পর রীতি মেনে নন্দ উ‍ৎসবে কাদামাটিতে মিশল দই, বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে পুজোর ঢাকে কাঠি
ওই রাজবাড়ি লাগোয়া মন্দিরে রয়েছে শিকল দিয়ে পা বাঁধা কালীমূর্তি। বহরমপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট থাকার সময় বঙ্কিমচন্দ্র লালগোলার রাজবাড়ির অতিথিশালার আতিথ্য গ্রহণ করেছেন বহুবার বলেই কথিত আছে। কিন্তু আজ সে সব কিছুই ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে।
advertisement
মুর্শিদাবাদ ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সদস্য অরিন্দম রায় জানান, ‘‘ঐতিহাসিক জেলা মুর্শিদাবাদ। এই জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। সেরকমই লালগোলার বহু প্রাচীন স্থান বিখ্যাত। লালগোলা রাজবাড়ির যে গেস্ট হাউসে আছে সেটাকে খুলে দেওয়া হয় না। গেস্ট হাউস আগামী দিনে সংস্কার করা হলে উপকৃত হবেন পর্যটকরা।’’
যদিও লালগোলা রাজবাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, একমাত্র লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির সংস্কার করা হলেও বাকি কিছু সংস্কার করা হয়নি। যদি সরকারি ভাবে রাজবাড়ি সংস্কার করা হয়, তাহলে এই ঐতিহাসিক স্থান জীবিত থাকবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Murshidabad Tourism: ধ্বংসের মুখে অমূল্য ইতিহাস! লালগোলা রাজবাড়ি ও অতিথিশালা পর্যটনকেন্দ্র না হয়ে অবলুপ্তির পথে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement