হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
গলায় চেন পেঁচিয়ে একের পর এক ধর্ষণ-খুন, মৃত্যুদন্ড শুনেই কেঁপে উঠল নৃশংস চেনম্যান

গলায় চেন পেঁচিয়ে একের পর এক ধর্ষণ-খুন, মৃত্যুদন্ডের রায় শুনেই থরথর করে কেঁপে উঠল নৃশংস চেনম্যান

রায় ঘোষণা হতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না সে। মৃত্যুদন্ড শুনেই থরথর করে কেঁপে উঠল গোটা শরীর।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: প্রথমে নিরুত্তাপ, স্বাভাবিক ছিল চেনম্যান কামরুজ্জামান। অন্তত বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছিল তেমনটাই। তবে ভেতরে যে দুশ্চিন্তা তোলপাড় করছে তা সে আগাম বুঝতে দেয়নি। কিন্তু রায় ঘোষণা হতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না সে। মৃত্যুদন্ড শুনেই থরথর করে কেঁপে উঠলো গোটা শরীর। সাদা জামা পরা মাঝারি গড়নের কামরুজ্জামান। সিরিয়াল কিলিংয়ের মামলা চলছে বিভিন্ন আদালতে। তারই মধ্যে কালনার সিঙ্গের কোনে নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষনের ঘটনায় তার মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করল কালনা আদালত।

সোমবার বেলা বারটা নাগাদ বিশেষ পুলিশি প্রহরায় আদালতে নিয়ে আসা হয় কামরুজ্জামানকে। তখন তার হাঁটাচলা ছিল বেশ স্বাভাবিক। একেবারেই ডোন্ট কেয়ার ভাব। যেন কিছুই হয়নি- এমনই তার দেহ ভঙ্গিমা।  বেলা একটার কিছু আগে তাকে আদালত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বিচারক নিয়ম মাফিক সাজা ঘোষণার আগে বাদি বিবাদি দু পক্ষের বক্তব্য শোনেন। দোষীসাব্যস্ত কামরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সাফ জানিয়ে দেয়, সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এরপরই সিঙ্গের কোনে নাবালিকার বাড়িতে বেআইনি অনুপ্রবেশ, খুন, ধর্ষন ও নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তাকে মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

সেকথা শুনেই কেঁপে ওঠে চেন ম্যান 'সিরিয়াল কিলার' কামরুজ্জামান। এরপর স্হির হয়ে যায়। আদালত কক্ষ থেকে তাকে কড়া প্রহরায় গাড়িতে তুলছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সে সময় ফের কামরুজ্জামান জানায়, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার আইনজীবী অরিন্দম বাজপেয়ী জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করবেন। তাঁর স্বামী ওই সিঙ্গের কোনের ঘটনায় যুক্ত নন বলে দাবি করেন কামরুজ্জামানের স্ত্রী জাহানারা সিং। তবে এই রায়ের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সিঙ্গের কোনে খুন হওয়া নাবালিকার আত্মীয় পরিজনরাও। কি সাজা হয় শুনতে আদালতে হাজির ছিলেন তাঁরা। নাবালিকার মা বলেন, মেয়ের খুনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছিলাম। এই রায়ে আমরা খুশি।

কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরও 13টি মামলা চলছে। এর বেশিরভাগেই একই কায়দায় মহিলাদের খুনের পর তাদের ওপর বিকৃত যৌন লালসা মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। দশটি মামলা চলছে কালনা আদালতে। দুটি মামলা হুগলি জেলা আদালতে বিচারাধীন। একটি মামলা রয়েছে বর্ধমান আদালতে। 2013 সাল থেকে পর পর খুনের মামলা রয়েছে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। শেষ ঘটনাটি ঘটে কালনার সিঙ্গের কোনে। এক বছর ধরে শুনানির পর সেই ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষনা করল আদালত।

Saradindu Ghosh

Published by:Elina Datta
First published:

Tags: Chainman, Murder, Murdered by Chain, Rape