Bankura News: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখলেও বর্ষায় নিরাপত্তা কোথায়? বাঁকুড়া তাই আজ অতীত দোতলা মাটির বাড়ি!
- Published by:Sounak Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Nilanjan Banerjee
Last Updated:
Bankura News: এক সময় বাঁকুড়ার গ্রামে ছিল অসংখ্য মাটির দোতলা বাড়ি, আজ তার খোঁজ মেলে হাতে গোনা। প্রচন্ড গরমে স্বস্তি দিলেও বর্ষার ঝুঁকির কারণে মানুষ মুখ ঘোরাচ্ছেন এই ঐতিহ্যবাহী বাড়ি থেকে, জানুন বিস্তারিত...
বাঁকুড়া: গ্রাম মানেই ছিল নস্টালজিয়া। গ্রাম মানেই লোডশেডিং, লন্ঠন জ্বালিয়ে পড়াশোনা কিংবা ভূতের গল্প। একটা সময় গ্রামের বাড়ি, গ্রামের মামার বাড়ি মানেই মাটির দোতলা বাড়ি। সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে আজ যেন সবকিছুই আবছা। গ্রামে এখন ঢুকে গিয়েছে বিদ্যুৎ। সেখানে অধিকাংশ বাড়ি এখন পাকা। তাই গ্রামে পা রাখলে এখন আর দেখা যায় না মাটির বাড়ি, আরও ভাল করে বললেন মাটির দোতলা বাড়ি।
প্রচন্ড রোদে বা ভয়ঙ্কর গরমে মাটির বাড়ি অন্য রকমের একটা শান্তি দেয়। ঘরের ভিতর থাকে ঠান্ডা। তবুও কেন মাটির বাড়ি ব্যবহার করেন না কেউ? তবুও কেন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে মাটির দোতলা বাড়ি? বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে একটা সময় শয়ে শয়ে মাটির দোতলা বাড়ি দেখা যেত, সেখানে এখন সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে হাতেগোনা।
advertisement
advertisement
এখন জীবন বড় দ্রুতগতির হয়ে গিয়েছে৷ তার মধ্যেও মাঝেমধ্যে পুরনো জিনিস দেখার ইচ্ছা হয়৷ আপনারও যদি মন উৎসুক হয়ে ওঠে, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার লায়েকবাঁধ গ্রাম৷ সেখানে এখন রয়েছে একটি মাটির দোতলা বাড়ি। মালিক থাকেন না, একাকী সেটি পড়ে রয়েছে পরিচর্যার অভাবে।
advertisement
প্রশ্ন উঠতে পারে, মাটির বাড়ির সুবিধা কী কী? উত্তর দিয়েছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অসীম গোস্বামী৷ জানিয়েছেন, মাটির বাড়ি থারমালি ইনসুলেটেড, অর্থাৎ মাটি তাপ পরিবহন করতে পারে না। বাইরে তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে তাহলে মাটির বাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা প্রায় দশ ডিগ্রি কমতে পারে। বাঁকুড়ার মতো যেসব জায়গায় ভয়ঙ্কর গরম পড়ে, তাপ প্রবাহ চলে, সেখানে গ্রীষ্মকালে মাটির বাড়ি যথেষ্ট আরামদায়ক বলেই মনে করছেন প্রফেসর।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরেই হোস্টেল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ ছাত্রদের, দেখুন ভিডিও…
তবে কেন দেখা যাচ্ছে না মাটির দোতলা বাড়ি? কেন হারিয়ে যাচ্ছে এত দ্রুত! প্রফেসর এর কারণ হিসাহে জানিয়েছেন, মাটির বাড়ির কয়েকটি গঠনগত ত্রুটি। তাঁর মতে, মাটির দেয়াল যত পুরুই হোক না কেন বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক কারণে সেই দেওয়াল খুব তাড়াতাড়ি পাতলা হয়ে যায়। মাটির বাইন্ডিং ক্ষমতা অর্থাৎ ধরে রাখার ক্ষমতা অনেকটাই কম, সেই কারণে দেওয়াল পড়ে যেতে পারে। সেই কারণেই বর্ষায় দেখা যায় একাধিক দুর্ঘটনা।
advertisement
সুবিধা একাধিক, বাঁকুড়ার গরমে বসবাসের জন্য সবথেকে ভাল অপশন৷ কিন্তু বর্ষার প্রবল বৃষ্টিতে নিরাপত্তা কোথায়? সেই কারণেই ধীরে ধীরে মানুষের মন মাটির বাড়ি থেকে ঘুরে পাকা বাড়িতে আকৃষ্ট হয়েছে। তবুও মাটির দোতলা বাড়ি আজও কিছু জায়গায় চোখে পড়ে। আসলে ইতিহাস কখনও পাকাপাকি মুছে যায় না, ছাপ রেখে যায়৷
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
June 18, 2025 8:06 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bankura News: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখলেও বর্ষায় নিরাপত্তা কোথায়? বাঁকুড়া তাই আজ অতীত দোতলা মাটির বাড়ি!