রঘুনাথগঞ্জ: মাধ্যমিক পাশ করার পরে হতাশা মনে বাসা বেঁধেছিল। একদিন হঠাৎ করে রাস্তা ভুলে চলে এসেছিল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। তারপর আর বাড়ির ঠিকানা মনে পড়েনি তার।
এর পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পাঠায় নগরের একটি হোমে। সেই হোমে কাউন্সিলিং ও মানসিক চিকিৎসা করে নিজের নাম ও ঠিকানা বলতে পারে এক কিশোরী। শুক্রবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বছর সতেরোর কিশোরী সাথীকে।
আরও পড়ুন- ইডির ৭ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার হুগলির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু
গত ১৫ই জানুয়ারী হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় বর্ধমানের রানীগঞ্জের বাসিন্দা সাথী চক্রবর্ত্তী। বাবা মনোজ চক্রবর্ত্তী একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন। পরিবারে মা, বোন ও ভাই রয়েছে। সাথীই বড় মেয়ে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করার পরে হতাশা গ্রাস করতে শুরু করে সাথীকে। একদিন হঠাৎই কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। তারপর আর বাড়ির ঠিকানা মনে পড়েনি।
থানা, সংবাদ মাধ্যম সবকিছুর দ্বারস্থ হয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকেরা। এদিকে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের রাস্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন বছর সতেরোর সাথীকে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
খড়গ্রামের নগরের একটি হোমে তাকে নিয়ে আসা হয়। সেই হোমে কাউন্সিলিং ও মানসিক চিকিৎসা করে নিজের নাম ও ঠিকানা বলতে পারে ওই কিশোরী। আর তারপরেই সাথীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুক্রবার সাথীকে নিজের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হারানো মেয়েকে খুঁজে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকেরা। দুমাস পর মেয়েকে দেখতে পেয়ে খুশি সাথীর বাবা। বাবা মনোজ চক্রবর্ত্তী বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খোঁজ না পেয়ে মেয়েকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। এই হোম আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওর খোঁজ দেয়। এই হোমে আমার মেয়ে খুব ভাল ছিল।হোম কর্তৃপক্ষের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।
আরও পড়ুন- ঘরের 'বউমা'র বিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ি! আসানসোলের বেনজির ঘটনা চোখে জল আনবে
হোমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিঠু মন্ডল বলেন, ওই কিশোরী যখন হোমে আসে তখন নিজের নাম ঠিকানা কিছু বলতে পারেনি। কাউন্সিলিং ও সঠিক চিকিৎসা করার পর ও আমাদের নাম, ঠিকানা সব জানায়। ওকে সুস্থ ভাবে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা খুব খুশি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Missing woman, Murshidabad