#শালবনি: শনিবার রাজ্যের প্রথম দফার ভোট, আর তার আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর দেহ। আবারও সেই দেহ উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর বাড়ির অদূরের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। মৃতের নাম লালমোহন সরেন(২২)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই বৃহস্পতিবার রাতে লালমোহনকে খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এদিন সকালেই লালমোহন সরেনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে শালবনির বাগমারি গ্রামের লাগোয়া জঙ্গল থেকে। রাজ্যের প্রথম দফা ভোটের আগে স্বাভাবিক কারণেই এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় মানুষজনের দাবি, ভোটের আবহে গত কয়েকদিন ধরেই পতাকা ছেঁড়া, দেওয়াল মুছে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকা অশান্ত হয়েই ছিল। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন বিজেপি কর্মী লালমোহন সরেন। মৃত্যুর সঙ্গে সেই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে, ঘটনাস্থলে বিজেপির পতাকাও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণ হল, আগামীকাল, শনিবারই ভোট রয়েছে শালবনি বিধানসভায়। তার আগে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে গোটা এলাকার পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার সকালে কোচবিহারের দিনহাটার পশু হাসপাতালের বারান্দায় বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় নেতার রহস্যমৃত্যুর বিষয়টিকে সামনে রেখে ময়দানে নামেন কোচবিহারের সাংসদ তথা দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকও। ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি জানান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ফেরার পথে তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে নিশীথ-অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও ইতিমধ্যেই ওই বিজেপি কর্মীর সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভোটের আবহে বৃহস্পতিবারই এডিজি পশ্চিমাঞ্চলকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আইপিএস অফিসার সঞ্জয় সিংকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে আইপিএস রাজেশ কুমারকে। ঠিক তার পরদিনই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে প্রশাসনের উপর। যদিও তৃণমূল শিবির থেকে এই মৃত্যুকে বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে।