#তমলুক: ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো! মুখে এই শ্লোগানের সাথে এক হাতে শঙ্খ আর অন্য হাতে তেরঙ্গা পতাকা নিয়েই ব্রিটিশ বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। একটাই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন তিনি, দেশকে স্বাধীন করা!তমলুক থানা আর কোর্টের দিকে এগিয়ে যাওয়া আগষ্ট আন্দোলনের সেই মিছিলের পথ আটকে গুলি চালিয়েছিলো ইংরেজ পুলিশ। মিছিলের সামনে থাকা গান্ধী বুড়ি, মাতঙ্গিনী হাজরা দেশের জন্যই সেদিন মৃত্যবরন করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা লাভে সেদিনের সেই আগষ্ট আন্দোলনের ভূমিকা আজও সবাই মুক্তকন্ঠেই স্বীকার করেন। স্বীকার করেন মা মাতঙ্গিনীর আত্মবলিদানআর ত্যাগের কথাও। ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, তমলুকের বানপকুরের পাড়ে, যেখানে ইংরেজদের ছোঁড়া তিন তিনটি গুলি মাতঙ্গিনী হাজরার দেহে জায়গা নিয়েছিলো, হাতে তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে যেখানে তিনি লুটিয়ে পড়েছিলেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরনো দিনের মানুষ আজও বীরাঙ্গনাকে স্মরণ করেন। প্রতি বছর ১৫ আগষ্ট এলে তমলুকের বানপুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ান তাঁরা। স্বাধীনতা যুদ্ধের এমন তীর্থক্ষেত্রে এসে সকলেই দাঁড়ান মৃত্যঞ্জয়ী বীরাঙ্গনার জন্যই। আসলে মাতঙ্গিনী হাজরা এমনই এক চরিত্র, যিনি তাঁর সমগ্র সত্তা ও হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন উদ্দীপ্ত দেশপ্রেমের অনন্যতন্ত্রতা, অন্তঃরস্থ মনুষত্বের স্বাধীনতা।
তিনি রত্ন প্রসবিনী মেদিনীপুরের শ্রেষ্ঠা বীরাঙ্গনা। ভারতবর্ষের শেষ স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর আত্মত্যাগের মহান নিদর্শন ইতিহাসের পাতায় চিরকাল সমুজ্জ্বল থাকবে। সময় প্রবাহে ভারতবর্ষে অনেক প্রবাদ-প্রতিম বীরাঙ্গনার আবির্ভাব হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে অসংখ্য মহীয়সী অগ্নিকন্যাগন অংশগ্রহণ করেছেন, আত্মবলিদান দিয়েছেন। তাঁরা সকলেই প্রনম্যা, প্রাতস্মরনীয়া। কিন্তু এঁদের অনেকের থেকে মাতঙ্গিনী বহুলাংশে স্বতন্ত্র। কারন অন্য অনেকে যাঁরা রাজবাড়ীর প্রশস্ত আঙিনা কিংবা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষিত আঙিনা থেকে এসেছিলেন।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Matangini hazra