#বীরভূম: বীরভূমের বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণে প্রাকৃতিক গরম জলে মকর স্নানের ভিড়। জেলার তো বটেই দূর দূরান্ত থেকেও পূন্যার্থীরা এসে ভিড় করেছেন এখানে। স্নান করে বক্রেশ্বর মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন পূন্যার্থীরা। শীতের সকালে গরম জলে স্নান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলে থেকে স্নান করছেন বক্রেশ্বরে আগত পুণ্যার্থীরা। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত তাপমাত্রা ছিল বেশ কিছুটা বেশি। সকালের দিকে গরম লাগছিল জেলাবাসীর। কিন্তু মকর স্নানের আগের দিন থেকেই ফের যেন শীতের ইনিংস শুরু হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নিম্নমুখী।
তাই শীতের সকালে মকর স্নান গরম জলে সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি পুণ্যার্থীরা। সকাল সকাল হাজির বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণে। জলে নেমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্নান করেছেন। উঠতেই মন চাইছিল না অনেক পুণ্যার্থীর। গরম জলে মকর সংক্রান্তির পূন্য স্নান সেরে অনেক পুণ্যার্থী গিয়েছেন বকেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিতে। কারণ মকর সংক্রান্তির দিন একই সঙ্গে দুই গরম জলে স্নান আর সাথে সতীপীঠ বক্রেশ্বরে পুজো যেন রথ দেখা কলা বেচা হয়ে গিয়েছে।
রুপা পাল আর সেন্টু পাল এসেছেন বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে। প্রথমবার এসে তারা চমক পেয়েছেন, তারাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা গরম জলে নেমে স্নান করেছেন। বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণের একদিকে যেমন রয়েছে পুরুষদের জন্য স্নানের ঘাট তেমনি মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা স্নানঘাট। তবে আজ দুটি ঘাটে ভিড় উপচে পড়েছে। শীতকালে এমনিতেই জমজমাট থাকে বক্রেশ্বর। তারপর আজ, বৃহস্পতিবার, মকর সংক্রান্তি হওয়ায় প্রচুর পুণ্যার্থীর আগমন হয়েছে বক্রেশ্বর সতীপীঠের । তাই বক্রেশ্বরের ব্যবসায়ীদের মনে খুশি। কারণ প্রচুর পরিমাণে বিক্রিবাটা হচ্ছে। বক্রেশ্বর প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণের জল এমনিতেই গরম। বিভিন্ন তাপমাত্রায় জলের ধারা রয়েছে এখানে। তবে বেশি তাপমাত্রার কুন্ড গুলিতে জনসাধারণকে নামতে দেওয়া হয় না। একমাত্র স্নানের জন্য একটি বিশেষ ঘাট করা আছে বক্রেশ্বরে সেখানেই সাধারণ পুণ্যার্থীরা নেমে স্নান করেন।