হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
সিউড়ির বাজারে আস্ত অ্যাকোয়ারিয়াম! রোজ পছন্দসই জ্যান্ত মাছ পাচ্ছেন ক্রেতারা

সিউড়ির বাজারে আস্ত অ্যাকোয়ারিয়াম! রোজ পছন্দসই জ্যান্ত মাছ পাচ্ছেন ক্রেতারা

বীরভূমের সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লির একটি মাছ দোকানের অভিনব পন্থা ক্রেতাকে আকর্ষণ করার জন্য।

  • Share this:

#সিউড়ি: বাজারে গিয়ে মাছপ্রিয় বাঙালি জ্যান্ত মাছ খোঁজেন৷ কোনও দিন ভাগ্য সহৃদয় হলে জুটে যায়৷ না হলে সেই কানকো তুলে টাটকা কী না দেখা ছাড়া উপায় কী! হাতে গোনা মানুষ জ্যান্ত মাছ পান। যারা একটু সকাল সকাল বাজারে যান, তাঁরা কখনও সখনও জ্যান্ত মাছ পান। অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিক্রেতা আগে মরে যাওয়া মাছকে টাটকা মাছ বলে চালিয়ে দেন।

তবে বীরভূমের সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লির একটি মাছ দোকানের অভিনব পন্থা ক্রেতাকে আকর্ষণ করার জন্য। মানুষকে টাটকা মাছ খাওয়ানোর জন্য দোকানের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে একটি বড়সড় অ্যাকোয়ারিয়াম যার মধ্যে রয়েছে জ্যান্ত অবস্থাতে চড়ে বেড়াচ্ছে রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন সাইজের মাছ। ক্রেতারা এসে মাছ পছন্দ করে দিচ্ছে তারপর সেই মাছ অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে তুলে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাকে।

নিজের পছন্দ করা টাটকা মাছ পেয়ে খুশি ক্রেতারা। ব্যবসায়ী ঈশ্বরচন্দ্র ধীবরের বক্তব্য, পরীক্ষা মূলক এই জ্যান্ত মাছ বিক্রিতে ভালো সাড়া পেয়েছেন৷ তাই তাঁরা এখানেই থেমে থাকবেন না। বর্তমানে বিভিন্ন জ্যান্ত মাছ ৩০ টি মতো থাকলেও, দোকানের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের জন্য আলাদা আলাদা করে বড়ো বড়ো অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরি করা হবে।

সে ক্ষেত্রে মাছের প্রজাতিও বাড়বে এবং ছোটো থেকে বড়ো সব সাইজেরই মাছ পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে,ভোরে যেখানে পুকুরে মাছ ধরা হয় সেখান থেকে এই মাছ দোকান পর্যন্ত আনতে পুরোটাই জীবন্ত মাছগুলিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়, দোকানেও মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামে রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা, মাছ বিক্রি না হলে মাছগুলিকে ১৫ থেকে ১ মাস বাঁচিয়ে রাখার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

SUPRATIM DAS

Published by:Arindam Gupta
First published:

Tags: Fish Market