#শ্রীরামপুর: সম্পত্তির লোভে দাদাকে সুপারী কিলার দিয়ে খুন করাল ভাই, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। অভিযুক্তরা হল উজ্জ্বল দাস ও কৃষ্ণ সরকার। আজ অভিযুক্ত সুপারি কিলার কৃষ্ণ সরকারকে শ্রীরামপুর থানা থেকে কোর্টে তোলার সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১৪ মে পুলিশ অভিযুক্তদের আদালতে পাঠিয়েছিল। আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। আজ কৃষ্ণ সরকারকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় পালিয়ে যায় সে।
শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য গার্ডেন দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌতম দাসরা(৫৮) পাঁচ ভাই এক বোন। এক ভাইয়ের বছর দুয়েক আগে মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে উজ্জ্বল একমাত্র বিবাহিত। সে একটি আলাদা বাড়িতে থাকে। বাকি তিন ভাই বোন ভগ্নিপতি একসঙ্গে থাকেন। দিল্লি রোডের পাশে বহু টাকার জমি ও সম্পত্তির মালিক তারা। তিন ভাই অবিবাহিত। তার মধ্যে পঙ্কজ আবার মানসিক ভাবে অসুস্থ। এরই সুযোগ নিয়ে সম্পত্তির লোভে দাদাকে খুনের ছক করে ভাই উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে মারাত্মক ঘটনা, হঠাৎ গ্যাস লিক, গুরুতর অসুস্থ ১১! যা ঘটল...
গত বৃহস্পতিবার দাসপাড়ারই একটি পুকুর থেকে গৌতম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা দেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পিয়ারপুর ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তে। মৃতের ছোট ভাই উৎপল একটি অভিযোগ দায়ের করেন শ্রীরামপুর থানায়। পুলিশ তদন্তে নামে। প্রথমে কৃষ্ণ সরকারকে আটক করে। মাঠপাড়ার বছর ত্রিশের কৃষ্ণ পুলিশের নজরে ছিল তার অসামাজিক কাজের জন্য। কৃষ্ণকে জেরা করে উজ্জ্বলকে আটক করে। দুজনকে জেরা করে খুন ও খুনের কারণ জানতে পারে পুলিশ। উজ্জ্বল স্বীকার করে সম্পত্তির লোভে সেই কৃষ্ণকে ভাড়া করে। জানা গিয়েছে, পঁচিশ হাজার টাকায় রফা হয়। অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয় কৃষ্ণকে।
আরও পড়ুন: সেমিস্টার পরীক্ষা অনলাইনে নাকি অফলাইনে? গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রবীন্দ্রভারতীর
ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার রাত বারোটা নাগাদ প্রৌঢ় গৌতমকে পুকুরপারে লাথি ঘুষি মেরে গলা টিপে খুন করে পুকুরে ফেলে দেয়। পুলিশ জানতে পেরেছে এর আগে দুটি জমি উজ্জ্বল তার ভাইদের না জানিয়ে বিক্রি করে দেয়। তা নিয়ে অশান্তি ছিল পরিবারে। দাদাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলে তার সুবিধা হবে মনে করেই এই পরিকল্পনা করে উজ্জ্বল। এই পরিকল্পনায় উজ্জ্বলের ভগ্নিপতি বিজয় মণ্ডলও সামিল আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিসি শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ বলেন, একটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগে তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে, আরেক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Bengal news