গোখাদ্য রপ্তানির আড়ালে জঙ্গিদের আর্থিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিত বারাসতের লালু সেন ওরফে রাহুল

Last Updated:

ধৃত লালু সেনের মা সন্ধ্যা সেন জানান, তাঁর ছেলে মূলত বাংলাদেশে গরুর খাবার রপ্তানি করত। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ছেলে মাসের পর মাস থাকে বাংলাদেশে।

#বারাসাত: পশ্চিম মুর্সিদহাটি রোড। বারাসত মধু মরালী এলাকায় রাস্তা থেকে পূব পাড়ায় কয়েক কদম এগিয়ে গেলেই বিশাল ঝিল।সবাই চেনে এই ঝিল। মধুমূরালীর ঝিল নাম। আর এই ঝিল পাড়াই জঙ্গিদের সহযোগীর বাস। ঘটনা জানাজানির পর হতবাক এলাকার সব্বাই। বুধবার দুপুরে এসটিএফ দল আসে। সটান চলে আসে সেন এন্টারপ্রাইজ-এ। দোতলা পাকা বাড়ি এলাকার মানুষের কাছে সেন বাড়ি বলে পরিচিত। মা বাবা আর তিন ভাইয়ের পরিবার। তবে বাড়িতে মা বাবা আর ছোট ভাইকেই বেশী দেখা যেত। এলাকার কাউন্সিলরের স্বামী শুভ দাসের কথায়, এই সেন বাড়ির লোকজন এলাকায় খুব কম মিশত। বাড়ির বড় ছেলে ভোলা সেন ইতালিতে থাকে। মেজ ছেলে এক্সপোর্ট ইম্পোর্টস-এর ব্যবসা করে। তাঁর আবার মেজাজ আলাদা, অনুযোগ প্রতিবেশীদের।
বৃহস্পতিবার সেই সেন বাড়িতে নিস্তব্ধতা। কারণ বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির মেজো ছেলে লালু সেন ওরফে রাহুলকে জেএমবি জঙ্গি সহযোগী হিসাবে গ্রেপ্তার করছে এসটিএফ। ধৃত লালু সেনের মা সন্ধ্যা সেন জানান, তাঁর ছেলে মূলত বাংলাদেশে গরুর খাবার রপ্তানি করত। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ছেলে মাসের পর মাস থাকে বাংলাদেশে। সেখানেই ঢাকা শহরে এক আইনজীবীকে ছেলে বিয়েও করেছে। জঙ্গি সন্দেহে ধৃত রাহুলের মায়ের দাবী, মেজো ছেলে যাকে বিয়ে করেছে তিনি আবার বাংলাদেশে সরকারি উকিল। তাই বিয়ের পরেও বৌমা এদেশে এসে সংসার করত  না।ছেলে ব্যবসা আর বৌমাকে নিয়ে আছে বলেই জানত তাঁরা। কিন্তুু এসটিএফ এর অভিযোগ ধৃত রাহুল এই রাজ্য জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের অংশ।মূলত জেএমবি জঙ্গিদের এই রাজ্যে থাকা, ঘোরা, নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও সময় মতো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পৌছে দেওয়া তার কাজ ছিল। সেই কাজ চালাত সে আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে, দাবী এসটি এফ এর।
advertisement
লালু সেনের কাছ থেকে এ্যাপেলের ল্যাপটপ, আই ফোন, বেশ কিছু সন্দেহজনক কাগজ উদ্ধার করেছে এসটিএফ-এর সদস্যরা। তাদের কয়েকদিন আগে তিন জেএমবি জঙ্গি কে ধরার পরই তারা হদিশ পায় লালু সেনের। এসটিএফ- এর সন্দেহ, শুধুই অর্থ আর গাড়ি দিয়ে সাহায্য নয়, লালু সেন জঙ্গিদের এদেশে থাকার জন্য আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরী করে দিয়ে থাকতে পারে। রাহুল ওরফে লালু সেনের বাড়ির কাছে ড্রেনে বেশ কিছু মোাবাইলের সিম পড়ে ছিল। আর ঘরে রয়েছে পাখি মারার বন্দুক। এই দেখেই আজ প্রতিবেশীদের চক্ষু চড়ক গাছে। তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন, মধুমূরালীর এলাকায় জঙ্গিদের বিচরণ কীভাবে শুরু হল?
advertisement
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গোখাদ্য রপ্তানির আড়ালে জঙ্গিদের আর্থিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিত বারাসতের লালু সেন ওরফে রাহুল
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement