কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের বড় উদ্যোগ! মুক্তি পেলেন বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা ১০৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক

Last Updated:

এ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অন্তর্গত এলাকার ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ভিন রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা সকলেই মুক্তি পেয়েছেন।

AI Image
AI Image
কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মুক্তি পেলেন বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা ১০৭ জন বাঙালী পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে বিভিন্ন রাজ্যে আটক করা হয়েছিল কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অন্তর্গত একাধিক গ্রামের ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে। অবশেষে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মুক্তি পেলেন ১০৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এর পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্যে যদি কোনও পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যায় পড়েন, তাহলে তাদের পরিবার যদি স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে সেক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও প্রতিটি থানা এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মীরা ওই এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
কালীগঞ্জ থানার পুলিশের উদ্যেগে মুক্তি পেয়েছেন হরিয়ানায় আটক পরিযায়ী শ্রমিক সাহিন শেখ, তিনি বাড়ি ফিরে আসছেন, আতঙ্কে পালিয়ে এসেছেন তার ভাই করিম শেখ। অপরদিকে তেহট্ট থানার পুলিশের উদ্যেগে গতকাল মুক্তি পেয়েছেন পাথরঘাটার বাসিন্দা হাফিজুল শেখ। তাকেও হরিয়ানা পুলিশ আটক করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করা নির্যাতন করা হচ্ছিল। এর মধ্যে ওড়িশাতে ৪৮জন, ছত্তিশগড়ে ৯জন, হরিয়ানায় ৫০জন ও মহারাষ্ট্রে ৩ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। যা নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছিল তাদের পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা বন্দী পরিযায়ী শ্রমিকদের মুক্তির দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করেন। তাদের যাবতীয় পরিচয়পত্র পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
advertisement
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্দি পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিচয়পত্র সেখানে পাঠানো হয়। এরপরই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত ১০৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তি পেয়েছেন। মহারাষ্ট্রে আটক তিন পরিযায়ী শ্রমিকের মুক্তির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকায় খুশি মুক্তি পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা। তবে মুক্তি পেলেও এখনো আতঙ্কে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অনেকেই চাইছেন আর যাবেন না ভিন রাজ্যে।
advertisement
advertisement
পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মুক্তি পেলেন মহারাষ্ট্রে আটক তিন পরিযায়ী শ্রমিকও। মহারাষ্ট্রের পুনেতে সেন্টারিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন করিমপুরের বাসিন্দা সুকান্ত মণ্ডল, তীর্থ মণ্ডল ও মন্টুলাল সরকার। গত ২৪ তারিখে হঠাৎ করেই পুলিশ তাদের বাংলাদেশী সন্দেহে তুলে নিয়ে যায় পুনের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা করি‌মপুর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিচয় জানতে চান। করিমপুর থানার পুলিশ পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিচয় পত্র ও নথিপত্র সেখানে পাঠায়। এরপরই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অন্তর্গত এলাকার ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ভিন রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা সকলেই মুক্তি পেয়েছেন।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের বড় উদ্যোগ! মুক্তি পেলেন বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা ১০৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement