BJP Bangla Bandh: কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, কোথাও বা ট্রেনে পাথর-বাসে আগুন, বিজেপির বাংলা বনধ কি আদৌ সফল

Last Updated:

BJP Bangla Bandh: সরকারি বাস সেভাবে নজরে না পড়লেও বেসরকারি বাস চলতে দেখা যায়। এদিনের বনধ ঘিরে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

হাতাহাতিতে শাসক বিরোধী
হাতাহাতিতে শাসক বিরোধী
উত্তর ২৪ পরগনা: ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব জেলায়। সীমান্ত শহর বনগাঁয় এদিন সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বনধ সফল করতে নামেন রাস্তায়। প্রথমেই অবরোধ করা হয় বনগাঁ স্টেশন। যার ফলে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া-সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এদিন ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের উপর পুলিশি প্রতিরোধ লক্ষ করা গিয়েছে গতকাল, মঙ্গলবার। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ, বুধবার স্লোগান চলে বিভিন্ন জায়গায়। যার ফলে সকালে নিত্যযাত্রীদের প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে পড়তে হয় ট্রেনেই।
পরবর্তীতে তৃণমূলের তরফ থেকে বনগাঁ আইএনটিটিইউসি সভাপতি নারায়ণ ঘোষ কর্মীদের নিয়ে স্টেশনে হাজির হলে স্টেশন চত্বরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রীতিমত তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। পরিস্থিতির সামাল দিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ট্রেন চলাচল শুরু করাতে পারে পুলিশ।
অপরদিকে বনধ সফল করতে পতাকা হাতে বনগাঁর রাজপথেও মিছিল করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। যে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে। বিজেপির তরফে জানানো হয়, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকেও রাস্তায় নেমে জনজীবন সচল রাখার চেষ্টা চালানো হয় জেলায়। বনগাঁর দোকানপাট অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কিছু বন্ধ থাকায়, বনধের প্রভাব লক্ষ করা গেল সীমান্ত শহরে।
advertisement
advertisement
অপরদিকে জেলা সদর শহর বারাসতে প্রথমে কলোনি মোড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচল করা বাস ও লরি-সহ অটো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। রাস্তার মাঝেই আড়াআড়ি ভাবে বাস ও লরি দাঁড় করিয়ে দিতেও দেখা যায় বিজেপি সমর্থকদের। এরপর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বারাসত স্টেশনে গিয়ে ট্রেন অবরোধ করেন। খবর শুনেই বারাসত স্টেশনে পৌঁছান স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি-সহ তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের সময় বেঁধে দিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বনধ-সমর্থকদের সরিয়ে স্বাভাবিক করে ট্রেন চলাচল। পরবর্তীতে আবারও চাপাডালি মোর সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই রীতিমতো তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এরপরই উত্তেজনার সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ।
advertisement
অপরদিকে শিল্পাঞ্চলে সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল কাজ। তবে ভাটপাড়া এলাকায় অর্জুন সিং অনুগামীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় গোটা এলাকায়। পরবর্তীতে দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও বচসা বাঁধলেও পরিস্থিতির সামাল দেয় পুলিশ। কলকাতা বিমানবন্দরে যদিও তেমনভাবে বনধের কোনও প্রভাব লক্ষ করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সকালের দিকে জেলার নানা প্রান্তে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনজীবন অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যায় অনেকটা।
advertisement
সরকারি বাস সেভাবে নজরে না পড়লেও বেসরকারি বাস চলতে দেখা যায়। এদিনের বনধ ঘিরে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
Rudra Narayan Roy
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
BJP Bangla Bandh: কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, কোথাও বা ট্রেনে পাথর-বাসে আগুন, বিজেপির বাংলা বনধ কি আদৌ সফল
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement