হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
একটা পুকুর, ২টো মোবাইল ফোন! ৬৫ ঘণ্টা ধরে জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রামে টানটান নাটক

Jibankrishna Saha | CBI: একটা পুকুর, ২টো মোবাইল ফোন! ৬৫ ঘণ্টা ধরে জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রামে টানটান নাটক

নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। দুটি মোবাইল ফোন ও পেন ড্রাইভ সহ উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্যাগ থেকে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছে।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

দক্ষিণবঙ্গ: শুক্রবারের পর থেকে টানা ৬৫ঘণ্টা নজরবন্দি করে দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পুকুরে ফেলে দেওয়া দুটি ফোনের মধ্যে একটি ফোন উদ্ধার হয় রবিবার সকালে। রবিবার রাত ২টো ২২ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীর তদন্তকারী আধিকারিকদের বিশেষ একটি দল এসে পৌঁছয় বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি। কলকাতা থেকে আসা সিবিআই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দেওয়া এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্য। এরপর প্রায় ঘণ্টা দুয়েক টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। আর তারপরেই সোমবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ভোর ৫টা ১৫মিনিট নাগাদ বিধায়কের মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেয় সিবিআইয়ের গাড়ি।

বিধায়ককে নিয়ে একটি গাড়ি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেও, মুর্শিদাবাদে থেকে যায় সিবিআই-এর একটি দল। তারা সকালে ফের নতুন করে ওই পুকুরে জেসিবি মেশিন নামিয়ে মোবাইল ফোনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। পুকুর থেকে পাঁক মাটি জেসিবি মেশিন দিয়ে তুলে তা ট্রাক্টরে করে পাশের জমিতে ফেলা হয়। সেই পাক মাটি ভাল করে পরীক্ষা করার জন্য আলাদাভাবে কাজে লাগানো হয় ১০ জন শ্রমিককে।

সিবিআই আধিকারিকরাও ওই মাটির মধ্যে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করেন, যাতে সেখানে কোনও ধাতব জিনিস রয়েছে কি না, তা আন্দাজ করা যায়। অবশেষে এক শ্রমিকই পুকুর থেকে দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: বিরাট খবর! শুধুমাত্র জীবনকৃষ্ণ সাহাই নন, সিবিআইয়ের নজরে আরও দুই বিধায়ক! কারা তারা?

সন্দীপ বাগদি নামের ওই শ্রমিক বলেন, ‘‘হাতে কাদা ভরে ভরে পুকুরের মধ্যে তল্লাশি করছিলাম। হঠাৎ ওই ফোনটি পেয়ে যাই। সিবিআই আধিকারিকদের হাতে তুলে দিই। ভাল লাগছে ফোনটা খুঁজে পেয়ে।’’ এরপর ঘণ্টা দুয়েক কলকাতা ও দিল্লির সঙ্গে বৈঠক করেন তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। তারপর বিকেল ৪টে নাগাদ বিধায়কের বাড়ি থেকে তাঁরা বেড়িয়ে যান।

নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। দুটি মোবাইল ফোন ও পেন ড্রাইভ সহ উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্যাগ থেকে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ছবি দেওয়া অ্যাডমিট কার্ড। সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী মাথাপিছু ৬-১৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণকে, এমনটাই অনুমান করছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: শুধুমাত্র ২ বছরেই কিনেছেন কোটি কোটি টাকার জমি! জীবনকৃষ্ণ সাহার সম্পত্তির তালিকা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

ওই ব্যাগের ভিতর থেকে কে কে কত টাকা দিয়েছে, সেইসমস্ত তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে কৌশিক ঘোষ নামের এক এজেন্টকে বড়ঞাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর কাছ থেকেই সমস্ত তথ্য পেয়েই জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয় বলে সূত্রের খবর।

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Jiban Krishna Saha, Jibankrishna Saha