Hooghly News: নিজেদের দুর্ভোগ নিজেরাই দূর করলেন গ্রামবাসীরা, তৈরি আস্ত বাঁশের সেতু! উপকৃত ৪০ গ্রামের বাসিন্দারা

Last Updated:

Hooghly News: গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বানিয়ে ফেললেন বাঁশের সেতু। তার উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন ৩৫-৪০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ফলে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।

বাঁশের সেতু উপর দিয়েই চলছে যাতায়াত 
বাঁশের সেতু উপর দিয়েই চলছে যাতায়াত 
হুগলি: সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বানিয়ে ফেললেন বাঁশের সেতু। তার উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন ৩৫-৪০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ফলে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
হুগলি জেলার অন্তর্গত খানাকুলের পোল এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুণ্ডেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগকারী অরোড়া খালের উপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য দীর্ঘ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন আশপাশের গ্রামের মানুষরা।
advertisement
advertisement
গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে বলেও কাজ হয়নি। ভোট আসে ভোট যায়, তবুও হয় না সমস্যার সমাধান। প্রতি বছর গ্রামের মানুষজন বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সেতু নির্মাণ করলেও বর্ষার সময় জলের তোড়ে সেটি ভেঙে যায়। ফলে অরোড়া খালের দুই দিকের বাসিন্দারাই সমস্যায় পড়েন। বাজারহাট করা, স্কুলে যাওয়া আসা করতে ভীষণই সমস্যা হয়। এই অরোড়া খালের পূর্ব দিকে রয়েছে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল। আর সেই হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকেন সাধারণ মানুষজন চিকিৎসার জন্য। ফলে এই সেতু অন্যতম ভরসা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অরোড়া খালের উপর সেতু নির্মাণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, স্থানীয় বিধায়ক সবার কাছেই দরবার করেছেন তাঁরা। ভোটের আগে শাসক ও বিরোধী সব দলের নেতারাই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এক বাসিন্দার কথায়, যখনই জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়, তখন তাঁদের মুখ থেকে একটা কথাই শুনতে পাওয়া যায়। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণের কাজ আজও শুরু হয়নি। তাই সম্প্রতি গ্রামবাসীরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেরাই বাঁশ ও কাঠের সেতু তৈরি করেছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hooghly News: নিজেদের দুর্ভোগ নিজেরাই দূর করলেন গ্রামবাসীরা, তৈরি আস্ত বাঁশের সেতু! উপকৃত ৪০ গ্রামের বাসিন্দারা