বর্ধমানের দুর্লভা কালীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজ কাহিনী ও নানা লোককথা !

Last Updated:

বর্ধমানের প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম লাকুড্ডি দুর্লভা কালী।

#বর্ধমান: বর্ধমানের প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম লাকুড্ডি দুর্লভা কালী। এই কালীমন্দিরে ঘটের আবাহন বা বিসর্জন নেই। ঘট ছাড়াই শুধু বিগ্রহের নিত্য পূজা হয় এই কালী মন্দিরে। বর্ধমান রাজার দান করা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল এই মন্দির। দীপান্বিতা কালীপুজোয় অগণিত ভক্তের সমাগম হয় মন্দিরে। তবে এবার করোনা আবহে বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
চারদিকে ঘন জঙ্গল। তার মাঝে বসে কালী সাধনা করছেন তান্ত্রিক গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী। লোকমুখে তাঁর নানান অলৌকিক ক্ষমতা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই ক্ষমতার কথা শুনে একদিন রাত্রে বর্ধমানের মহারাজ তেজচাঁদ মন্ত্রী সান্ত্রীদের নিয়ে সেখানে গেলেন। বর্ধমানের মহারাজ দেখতে চান তান্ত্রিকের অলৌকিক ক্ষমতা। তান্ত্রিক গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী বুঝলেন, রাজা তাঁর ক্ষমতার পরীক্ষা নিতে এসেছেন। সেদিন ঘোর অমাবস্যা। রাজা জানতে চাইলেন, আজ কি তিথি? তান্ত্রিক জানালেন, আজ পূর্ণিমা। রাজা বললেন, আমাকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখাতে পারেন। মৃদু হাসলেন গোকুলানন্দ। চারদিক জ্যোৎস্না আলোকিত হয়ে উঠলো। আকাশের দিকে আঙুল দেখিয়ে তান্ত্রিক বললেন, ওই পূর্ণিমার চাঁদ। দেখুন মহারাজ।
advertisement
অমাবস্যার রাতে পূর্ণিমার চাঁদ দেখে তান্ত্রিকের সাধনায় মুগ্ধ হয়ে মহারাজ তেজচাঁদ কালী মন্দির করে দিলেন। সেদিন থেকেই বর্ধমানের লাকুড্ডির দুর্লভা কালীবাড়িতে নিত্য পুজো চলছে।
advertisement
দেবীর দর্শন পাওয়া অতি দুর্লভ। তাই নাম দুর্লভা কালী। প্রায় আড়াইশো বছর আগে তান্ত্রিক গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী পাশের জলাশয়ে স্নান করতে নেমে একটি পাথর পান। সেই পাথরকেই মা কালী রূপে পুজো করেন তিনি। সেই পাথর খণ্ড প্রতিষ্ঠিত হয় রাজার তৈরি করে দেওয়া মন্দিরে। পরে কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হলেও আজও সেখানে সেই পাথর খণ্ড সামনে রেখেই পুজো করা হয়। সাধক কমলাকান্তও এখানে তন্ত্র সাধনা করতে আসতেন।বর্ধমানের রাজারা এই মন্দিরে ভোগঘর তৈরি করে দেন। পুজোর ব্যয়ভার বহন করতেন তাঁরাই। এখানে আজও নিত্য পূজার পাশাপাশি দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়।
advertisement
SARADINDU GHOSH 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বর্ধমানের দুর্লভা কালীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজ কাহিনী ও নানা লোককথা !
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement