Jhargram News: বাঁকুড়া হয়ে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার ইচ্ছে...! মাঝপথেই ভেস্তে যেতে পারে প্ল্যান, ভয়ানক পরিস্থিতি ঝাড়গ্রামে

Last Updated:

Jhargram News: সোমবার ঝাড়গ্রামে সেভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি, তবে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় অতি বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু জলাধারের জলস্তর বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সেচ দফতর বাধ্য হয়ে জল ছাড়ে।

+
জলের

জলের তলায় কজওয়ে

ঝাড়গ্রাম: ফের জলের তলায় ঝাড়গ্রাম, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি না হলেও বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিক্ষিপ্ত অংশে ভারী বৃষ্টিতে জল বাড়তে শুরু করেছে তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর। ঝাড়গ্রামের একাধিক কজওয়ে জলের তলায়। সকাল থেকেই তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর জলস্তর বাড়ায় ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভৈরববাঁকী নদীর উপর নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে, তারাফেনী নদীর উপর বেলপাহাড়ি ব্লকের এঁটালায় ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া নয় নম্বর রাজ্য সড়কের কালভার্ট ও বিনপুর দুই নম্বর ব্লকে তারাফেনী নদীর উপর ঢোলভাঙ্গা কজওয়ের উপর ওঠে পড়ে জল ফলে সম্পূর্ণভাবে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
গতকাল ঝাড়গ্রামে সেভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি, তবে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় অতি বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু জলাধারের জলস্তর বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সেচ দফতর বাধ্য হয়ে জল ছাড়ে। সমস্ত কজওয়ের উপর জল থাকায় অনেকই তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন নি। ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁকুড়ার রাইপুরে শিক্ষকতা করতে আসা শিক্ষকরাও বিপাকে পড়েন। ঘুরতে হয় বাড়তি প্রায় ৪০-৪৫ কিমি পথ। স্থানীয়রাও অনেকেই এদিন বাড়ি থেকে কাজে বেরোতে পারেন নি। স্থানীয় বাসিন্দা মাখন মুর্মু বলেন, নদী পেরিয়ে মাত্র চার পাঁচ কিমি যেতে হত, জল থাকায় এখন অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হবে।
advertisement
advertisement
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ক্যানেলের মাধ্যমে জল আসে তারাফেনী ব্যারাজ ও যাঁতাডুমুর জলাধারে পাঠান হয়। তারাফেনী ব্যারাজ থেকেও তারাফেনী নদীতে জল ছাড়ার ফলে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কজওয়েগুলির উপর মোতায়েন করা পুলিশ। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লকের যাঁতাডুমুর জলাধারে জল বাড়তে শুরু করে। ওই জলাধারের সর্বাধিক জলধারণ ক্ষমতা ৩৮৬ ফুট। গতকাল বিকালে ওই জলাধারে জলস্তরের উচ্চতা ৩৮১ ফুট ছুঁয়ে যাওয়ায় জলাধার থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই ওই জলাধার থেকে দেড় হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করে সেচ দফতর। যাঁতাডুমুর জলাধার থেকে ছাড়া জলে এদিন সকাল থেকে ভৈরববাঁকী নদীর উপর নিশ্চিন্তপুর কজওয়ের যান চলাচল বন্ধ। সুতরাং, এখন এমন পরিস্থিতে যেমন সাধারণ মানুষেরা সমস্যায় পড়েছেন, ঠিক সেইরকমই কারও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে মাঝরাস্তায় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
advertisement
তন্ময় নন্দী 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: বাঁকুড়া হয়ে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার ইচ্ছে...! মাঝপথেই ভেস্তে যেতে পারে প্ল্যান, ভয়ানক পরিস্থিতি ঝাড়গ্রামে
Next Article
advertisement
Durga Puja Weather Update: নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়
নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কতটা হতে পারে
  • নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন !

  • তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস?

  • বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়

VIEW MORE
advertisement
advertisement