Money Making Tips: শখের বসে শেখা কাজ আজ সুপারহিট, বাজারে সারাবছর চাহিদা! ঘরে বসে টাকা কামানোর রাস্তা দেখাচ্ছেন গৃহবধূ

Last Updated:

East Medinipur Money Making Tips: হাতের কাজ শিখছিলেন শখ করে। এখন সেটাই দেখিয়েছে টাকা কামানোর রাস্তা। এনে দিয়েছে সম্মান।

+
শ্যামলী

শ্যামলী কুন্ডু চন্দ 

পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: মনীষীদের সেই মহান বাণী আজ কোথাও যেন সত্যি হচ্ছে বাংলায়। গ্রাম বাংলার মেয়েরাও পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান তালে এগিয়ে চলেছে। তার প্রমাণ পটাশপুরের শ্যামলী কুন্ডু চন্দ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সে স্বামীর সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে হিন্দু নারীদের হাতের শাঁখা তৈরি করে চলেছে। এক সময় যা ছিল শুধুই সংসারের কাজের ফাঁকে শেখা একটি হাতের কাজ, আজ সেটাই হয়ে উঠেছে তার পরিচয়। শ্যামলীর হাতে তৈরি শাঁখায় ফুটে ওঠে নিখুঁত কারুকার্য। প্রতিটি শাঁখার ফুটে ওঠে তার অসাধারণ অভিজ্ঞতার ছাপ। ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন দক্ষ শাঁখা শিল্পী হিসেবে।
শ্যামলীর হাতে তৈরি হয় নানা ধরনের শাঁখা। সাধারণ শাঁখা থেকে শুরু করে ট্রেন্ডিং ডিজাইনের শাঁখা। সব ধরনের শাঁখা সে অনায়াসে বানাতে পারে । সোনার পালিশ দেওয়া শাঁখা কিংবা বিশেষ নকশার শাঁখা, মুহূর্তেই বানিয়ে ফেলে অসাধারণ সব ডিজাইন। ক্রেতার পছন্দ বুঝে কাজ করা তাঁর সবচেয়ে বড় দক্ষতা। নতুন ডিজাইন শেখার আগ্রহ তাঁর মধ্যে সব সময় থাকে। তাই বদলে যাওয়া বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি নিজেকেও বদলে নিয়েছেন। তাঁর তৈরি শাঁখা শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, আশপাশের এলাকাতেও বেশ জনপ্রিয়। বহু বিবাহিত নারী তাঁর কাছ থেকেই শাঁখা কিনতে পছন্দ করেন।
advertisement
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের অমর্ষি এলাকায় নিত্যদিনই শাঁখার পসরা সাজিয়ে বসেন শ্যামলী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাঁর কাজ। কাঁচামাল আনা থেকে শুরু করে শাঁখা তৈরি এবং বিক্রি, সব দিকেই তিনি সমানভাবে পারদর্শী। সংসারের সমস্ত কাজ সামলে তিনি এই কাজ চালিয়ে যান। কোনও অভাব বা বাধ্যবাধকতা নয়, স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ইচ্ছেই তাঁকে এই পথে এনেছে। এক সময় স্বামীর কাছ থেকেই তিনি শাঁখা বানান শিখেছিলেন। আজ তিনি নিজেই একজন দক্ষ শিল্পী।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শ্যামলী কুন্ডু চন্দ আজ শুধু একজন শাঁখা কারিগর নন, তিনি গ্রাম বাংলার নারীদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, ইচ্ছে আর পরিশ্রম থাকলে নারীর পক্ষেও সবই সম্ভব। ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে কাজ করে তিনি প্রমাণ করেছেন, গ্রাম বাংলার নারীরা কোনও অংশে কম নয়। শ্যামলীর সাফল্য নতুন প্রজন্মের মেয়েদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। তার মতো একইভাবে আরও অনেক নারী যদি এগিয়ে আসেন, তবে গ্রাম বাংলার ছবিটাই বদলে যাবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Money Making Tips: শখের বসে শেখা কাজ আজ সুপারহিট, বাজারে সারাবছর চাহিদা! ঘরে বসে টাকা কামানোর রাস্তা দেখাচ্ছেন গৃহবধূ
Next Article
advertisement
Messi GOAT Tour Concert: মেসির সফর ঘিরে সন্দেহের ‘কালো মেঘ’- যত দ্রুত সম্ভব টিকিটের টাকা ফেরত দিতে আয়োজকদের নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ
টিকিটের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ কলকাতা পুলিশের, মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সন্দেহের কালো মেঘ
  • এদিকে আরও নানা বিষয় নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷ তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ফুটবল মাঠে কখনই জলের বোতল নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুমতি থাকে না। আজকে কি করে মাঠে জলের বোতল নিয়ে ঢুকলেন দর্শকরা। মাঠের ভেতরে ৩০০ টাকা করে জলের বোতল বিক্রি হয়েছে বলে খবর। প্রথমে সেই বোতলই ছোড়া শুরু হয়।

VIEW MORE
advertisement
advertisement