Durga Puja 2023: প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো রায় পরিবারের দুর্গা পুজো, পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে একেবারে অন্য নিয়ম

Last Updated:

Durga Puja 2023: বিসর্জনের সময় আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকের আসেন,মানুষের বিশ্বাস এই মা দুর্গাকে কাঁধে নিলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

+
৩০০

৩০০ বছরের পুরানো দুর্গা পুজো 

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘোড়ানাশ গ্রামের রায় পরিবারের দুর্গা পুজো। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো এই পুজো। এই পরিবারের পূর্ব পুরুষ ভবানন্দ রায় প্রথম দুর্গা পুজো শুরু করেছিলেন । সেই সময় ভবানন্দ রায়ের সঙ্গে ছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁ। ভবানন্দ রায় ছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁ এর দেওয়ান। এই পুজোর রয়েছে বিভিন্ন নিয়ম রীতি। আজ ভবানন্দ রায় না থাকলেও , পরিবারের সদস্যরা আজও সেই নিয়ম মেনে চলেছেন ।
পুজো প্রসঙ্গে পরিবারের এক সদস্য মহিমচন্দ্র রায় বলেন, রায় পরিবারের পূর্বপুরুষ ভবানন্দ রায় এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে । তখনকার সময় ভবানন্দ রায় ছিলেন এখানকার জমিদার । পরিবারের কথায় তৎকালীন নবাব আলীবর্দী খাঁয়ের উপস্থিতিতে এই পুজোর সূচনা হয় । ভবানন্দ রায় ছিলেন আলীবর্দী খাঁ এর দেওয়ান । সেই জন্য ভবানন্দ রায় আলীবর্দী খাকে সামনে রেখে এই পুজোর সৃষ্টি করেন ।
advertisement
advertisement
বর্তমানে এখানে মা দুর্গাকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় । পুজোর শুরু থেকে কিন্তু দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার রীতি ছিল না৷ জানা গিয়েছে একবার পুজোর সময় প্রচন্ড ঝড় হয়৷ তখন তালপাতার ছাউনি দিয়ে বানানো ছিল মন্দির । ঝড়ে প্রতিমা যাতে কোনও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তারজন্যই নাকি দেবী স্বয়ং পরিবারের কোনও এক সদস্যকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার স্বপ্ন দেন । সেই সময় মন্দিরের পিছনে একটি ডুমুর গাছ ছিল৷ মায়ের বেদির পিছনে মন্দিরের দেওয়ালে একটি ছিদ্র করা রয়েছে। সেই ছিদ্র দিয়েই দড়ি ঢুকিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমার কাঠামো বেঁধে রাখা হয়। তবে সেই ডুমুর গাছ এখন আর না থাকলেও মন্দিরের পিছনে দেবদারু গাছের সঙ্গে এখন দুর্গা প্রতিমা বেঁধে রাখা হয় । এই ঘোড়ানাশ গ্রামের রায় পরিবারের দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনও নাকি দেখার মত। পরিবারের কথায় বিসর্জনও হয় সম্পূর্ন অন্য ভাবে ।
advertisement
এই বিষয়ে মহিমচন্দ্র রায় আরও জানান, প্রতিমা বিসর্জনের সময় আমাদের এখানে কোনও টর্চ লাইট, রাস্তার আলো , হ্যাঁচাক ব্যবহার করা হয়না । আজও পাট কাঠির মশালের আলোতেই বিসর্জন হয় মায়ের । বিসর্জনের সময় আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকের আসেন । মানুষের বিশ্বাস বিসর্জনের সময়ে মা দুর্গা কে কাঁধে নিলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । বিসর্জনের দিন উপচে পড়ে মানুষের ভিড়।তবে এই গ্রামে অনেক পুকুর থাকা সত্ত্বেও, কয়েক কিলোমিটার দূরে নদীর জলে বিসর্জন হয় এই দুর্গা প্রতিমা। বিসর্জনের পর বাড়ি আসেনা প্রতিমার কাঠামো। আজও পুকুরের জল দিয়েই রান্না হয় মায়ের ভোগ । এইভাবে আজও বিভিন্ন নিয়ম রীতির সঙ্গে জাঁকজমক ভাবে পালিত হচ্ছে রায় পরিবারের দুর্গা পুজো।
advertisement
Banowarilal Chowdhary 
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Durga Puja 2023: প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো রায় পরিবারের দুর্গা পুজো, পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে একেবারে অন্য নিয়ম
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement