#দুর্গাপুর: দিনে ইনজিরিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। রাতে আধুনিক পাইপগান হাতে তোলাবাজি। বেশ কিছুদিন এটাই রুটিন হয়ে উঠেছিল। দুর্গাপুরের একটি ইনজিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াকে গ্রেফতারের পর চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। কেন এই পথে হাঁটল ইনজিনিয়ারিং পড়ুয়া? অভিযুক্তকে টানা জেরার পরও অনেক প্রশ্নেরই উত্তর নেই।
পুলিশের কাছে খবর ছিল, কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছে একটি গ্যাং। গ্যাংয়ের সদস্যরা কমবয়সী ও হিন্দি ও ইংরাজিতে দক্ষ। পুলিশী অভিযানে দুর্গাপুরের অমরাবতী থেকে গ্রেফতার হয় দুই তরুণ। তাদের থেকে মিলেছে সিক্সথ শাটার পাইপগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ।এদের পরিচয় পেতেই পুলিশের চোখ কপালে ওঠার যোগাড়। মূল অভিযুক্ত সোহম চট্টোপাধ্যায় দুর্গাপুরেরই একটি নামী ইনজিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সোহম পরীক্ষায় বরাবরই ভাল রেজাল্ট করেছে।মাধ্যমিকে ৯২ শতাংশ নম্বর পান সোহম৷ উচ্চমাধ্যমিকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে ইনজিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন৷ অ্যাপ্লায়েড ইনজিনিয়ারিংয়ে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া তিনি৷ কলেজেও ভাল ছাত্র হিসাবেই পরিচিত৷দুর্গাপুরের বেশ কিছু ব্যবসায়ীর থেকে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ছিল। আর তাই বিহার থেকে পাইপগান ও কাতুর্জ আনায় সে। সঙ্গে নেয় বন্ধুকে নয়ন দে'কে। পুলিশের জেরায় এই দাবিই করেছে সোহম।
এই রাস্তায় গেলেন কেন? আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেলেন? কী পরিকল্পনা ছিল? এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না৷ সিক্সথ শাটার গান সাধারণত মাওবাদীরাই ব্যবহার করে৷ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কী পরিকল্পনা ছিল? ধরা পড়ার সম্ভাবনা জেনেও এত ঝুঁকি কেন?মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সোহমের বাবার ঠিকাদারি ব্যবসা। সম্প্রতি ব্যবসায় তিনি বড় ক্ষতির মুখে পড়েন বলে জেনেছে পুলিশ। তবে সেই কারণেই সোহমের তোলাবাজি, এমনটা নয়। কেন উজ্জ্বল কেরিয়ার ছেড়ে এই পথে নামল ইনজিনিরিয়াংয়ের পড়ুয়া? শুধু সহজে টাকা কামানো নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।