দক্ষিণেশ্বরে পুরনো চেহারা, মন্দিরের বাইরে থেকে বালি ব্রিজ পর্যন্ত ভক্তদের ভিড়!

এ দিন ভোর থেকেই মন্দির চত্বরের বাইরের অংশের চাতাল থেকে বালি ব্রিজ পর্যন্ত সর্বত্র ভক্তদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে পূর্ণ মাত্রায়। প্রতিবছর কালীপুজোর দিন ভোর থেকেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড় জমে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। বিকেল থেকেই সেই ভিড় বাড়তে থাকে মন্দির চত্বরে।

গঙ্গার ঘাট থেকে শুরু করে নাট মন্দির ও চাতাল জুড়ে দেখা যায় লাখো ভক্তের ভিড়। আজ, সোমবার সকাল থেকে যে সব ভক্তরা  পুজো দিতে আসছেন, তাঁরা মন্দিরে এসে দাঁড়িয়ে আছেন লাইন মেনেই। মন্দিরের চাতালে একসঙ্গে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে আবহাওয়া জনিত সতর্কতায় গঙ্গার ঘাটে দাঁড়ানো বা বসা যাচ্ছে না। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেছেন, "করোনা পূর্ববর্তী সময়ে যে সব নিয়ম মেনে মন্দির খোলা থাকত, এখনও সেটা বজায় রাখা হচ্ছে। গোটা দেশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে এই মন্দিরের সঙ্গে। তাই কালীপুজোর রাতে কাউকেই পুজো দেওয়া থেকে বিরত বা বঞ্চিত করা হবে না। তবে সব বিধি মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে।"

নাটমন্দিরে বসানো হয়েছে ক্যামেরা। সেখান থেকেই অবশ্য অনলাইনে ফিড মিলছে সরাসরি পুজো দেখার জন্যে। ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি দক্ষিণেশ্বরের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ। ঘট স্নানের পর মায়ের পুরনো ঘটেই নতুন করে গঙ্গার জল ভরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান। মায়ের ভোগও অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়।

সকাল থেকেই চলছে ভোগ, আরতির ব্যস্ততা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এদিন ভবতারিণীকে 'কথামৃত'-এ বর্ণিত সাজেই সজ্জিত করা হয়েছে।