দু'দিনের মধ্যে টাকা ঢুকল অ্যাকাউন্টে! এই সরকারি প্রকল্পে 'এক্সপ্রেস পরিষেবা' পেল পড়ুয়া

Last Updated:

১৮ বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে চার হাজার টাকা করে পাবে ওই ছাত্রীর পরিবার।

দু'দিনে এল সরকারি সাহায্য। (প্রতিকী ছবি)
দু'দিনে এল সরকারি সাহায্য। (প্রতিকী ছবি)
ডেবরা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দিগ্বিজয় মাহালি:  বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়া। আগামীদিনের পড়াশোনা এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল সরকারি সাহায্য। আর সেই সরকারি সাহায্যের টাকা মাত্র দু’দিনের মধ্যেই এল অ্যাকাউন্টে। সৌজন্যে আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান প্রকল্প। ওই পড়ুয়ার বাবার অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই ঢুকেছে সরকারি সহায়তার টাকা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৭ নং মলিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানেই জোতহাড়ো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছিল আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পের ক্যাম্প। গত সোমবার অর্থাৎ ১১ অগাস্ট ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবসের দিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ক্যাম্প। সেই ক্যাম্প পরিদর্শনে জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরী উপস্থিত হয়েছিলেন। ক্যাম্পের পাশাপাশি স্কুলের পঠনপাঠন চলছিল। পরিদর্শনের সময় পিউ দে নামে এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক পড়ুয়ার দিকে চোখে যায় জেলাশাসকের।
advertisement
advertisement
মেয়েটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। ওই পড়ুয়া সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন এবং বাম হাতের আঙ্গুলগুলি অসাড় হয়ে রয়েছে। ওই ছাত্রী এবং তার অভিভাবক জেলাশাসকের কাছে ভবিষ্যতে পড়াশোনার খরচ ও শারীরিক অক্ষমতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারি সহযোগিতার অনুরোধ জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসক স্থানীয় বিডিওকে বিষয়টি দেখতে বলেন এবং বাৎসল্য প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।
advertisement
জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ওই পড়ুয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি পাঠানো হয় জেলাশাসকের ই-মেলে। সেই মতো ক্যাম্পের দু’দিন পরে ওই পড়ুয়ার পিতার ব্যাংক একাউন্টে আর্থিক সাহায্য ঢোকে। পিতা-মাতার আর্থিক সমস্যা একটা সুরাহা হয়। জানা গিয়েছে, ১৮ বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে চার হাজার টাকা করে পাবে ওই ছাত্রীর পরিবার। এই টাকা তার পড়াশোনার জন্য লাগবে।
advertisement
আরও পড়ুন : মুখে না বললেও হয়ে যাচ্ছে সমাধান, ‘অ্যাকশন মোডে’ স্কুল! কী চলছে দুর্গাপুরে?
ওই পড়ুয়ার বাবা শংকর দে বলেন, জেলাশাসক, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং ডেবরা ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় আমাদের জীবনে নতুন সূর্য উদয় দেখছি। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ডেবরা ব্লকের বিডিও জানান, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক পরিদর্শনে আসেন। সেখানেই ওই পড়ুয়াকে তাঁরা দেখতে পান। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে সমস্যার কথা জানানো হয়। তারপরেই দু’দিনের মধ্যে ওই পড়ুয়ার পরিবারের অ্যাকাউন্টে পড়াশোনার জন্য সরকারিভাবে সহায়তা পৌঁছে গিয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দু'দিনের মধ্যে টাকা ঢুকল অ্যাকাউন্টে! এই সরকারি প্রকল্পে 'এক্সপ্রেস পরিষেবা' পেল পড়ুয়া
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ! পুজোতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ! পুজোতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস !

  • পুজোতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement